চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

September 21, 2019,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

২১ সেপ্টেম্বর  শনিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মল্লিকা দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিবিআই মোঃ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী,  জেলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এ.এস.এম আজাদুর রহমান।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল; সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার; জেল সুপার, জেলা কারাগার, মৌলভীবাজার; সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর; বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি সহকারী বন সংরক্ষক, জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (IRSOP); কোর্ট ইন্সপেক্টর; ইন্সপেক্টর, সিআইডি-এর প্রতিনিধি এবং জেলার বিভিন্ন থানা ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহম্মদ আলী আহসান মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিচারক ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

কনফারেন্সে উপস্থিত বক্তাগণ পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষত: পুরাতন মামলা অধিক হারে নিষ্পত্তি হওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও, বক্তাগণ দ্রুত গ্রেফতারী পরোয়ানা, হুলিয়া, ক্রোকী পরেয়ানা তামিল ও সমন জারীর ব্যবস্থা গ্রহণ, তদন্ত কার্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার, হয়রানী বন্ধ, P/M রিপোর্ট ও M/C প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন, নকলখানা হতে স্বল্পতম সময়ে নকল সরবরাহের ব্যবস্থা করা, মামলার আলামত সংরক্ষণ ও সঠিক নিয়মে নিষ্পত্তি, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও নিষ্পত্তিকৃত নথি দ্রুত রেকর্ডরুমে প্রেরণ, আদালত ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নানাবিধ বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতসমূহ কনফারেন্সে তুলে ধরেন।

বিভিন্ন থানা থেকে আগত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য উপস্থিতি কর্র্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যার আইনি সমাধান, প্রশ্নোত্তর প্রদান এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ ও সমাপনী বক্তব্যে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান বলেন যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারষ্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে আগত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহম্মদ আলী আহসান।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com