মাতারকাপন পলিটেকনিকেলের ছাত্র ল্যাপটপ চুরির বিচার চেয়ে নিরাপত্তাহীনতায়
সংবাদদাতাঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মাতারকাপন পলিটেকনিকেল কলেজের ছাত্র বাহরুল ইসলাম ল্যাবটপ চুরির বিচার চেয়ে এখন নিরপত্তাহীনতায় ভূগছেন। চাঁদনী ঘাট ইউনিয়ন অফিস থেকে বিচার শেষে গেইটে বাহিরে আসা মাত্র তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা হয়েছে, মামলা নং-০৫।
মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, মাতারকাপন পলিটেকনিকেল এর ছাত্র বাহারুল ইসলাম আনিছা ছাত্রা বাসে থেকে লেখা পড়া করে। ২১ জুলাই ছাত্রাবাসের দেয়াল টপকে এলাকার সুজিত মালাকার, আমির হোসেন,শাহ আলম তার রুমে প্রবেশ করে মূল্যবান ল্যাবটপ চুরি করে নিয়ে যায়। বাহারুল ঘটনাটি দেখে তাদেরে আটকাতে চেষ্টা করলে তারা তাকে মেরে চলে যায়। সে বিষয়টি এলাকার ইউনিয়ন সদস্য কয়েছ মিয়াকে অবহিত করে।
পরে চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করে। বিচারের সময় অভিযোক্তরা চেয়ারম্যানের নিকট তাদের দোষ শিকার করে। বিচারে তাদের উপর জরিমানাও করা হয়। কিন্তু ইউনিয়ন অফিস থেকে বের হয়ে সুজিত মালাকার মায়ারানী বিসুরির হুকুমে তাকে প্রানে মারার জন্য প্রতিপক্ষরা আবারও আক্রমন করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসায় পরবর্তীতে তাকে প্রানে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ সময় তার নিকট থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিষ পত্র কেড়ে নেয়।
এ ঘটনায় বাহারুল চেয়ারম্যান আখলাই মিয়াকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি তাকে আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেন। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের নিকট মাতারকাপন এলাকার ১৪১ জনের স্বাক্ষর করা অভিযোগে দেখা যায় মায়া রানী মালাকা বিসুরি ধর্মান্তরিত হওয়া সহ বহু মামলা মোকদ্দমার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন