সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঘুমন্ত কর্তা-ব্যক্তিদের কারনে ভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্থা সংস্কারের কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। তাতে জনগণের ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। তবুও যেন টনক নড়ছেনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তাদের। সড়ক ও জনপথের প্রধান অফিসের সম্মুখে ঘটছে দুর্ঘটনা,অঙ্গহানীসহ প্রাণহানীর মতো ঘটনা। তবুও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকতাদের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছেনা। অথচ মৌলভীবাজার জেলা শহরের গুরুত্বপুর্ন বেজবাড়ী পয়েন্ট দীর্ঘদিন থেকে চোঁখের সম্মুখে মরন ফাঁদ অতিক্রম করে প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীরা। এই সড়কে প্রতিদিন কয়েকশ’ ট্রাক,বাস,পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে কয়ে হাজার মানুষ চলাচল করে।
এছাড়াও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করছে। সড়কে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিজেরাই এখন মরন ফাঁদ নিয়ে চলাচল করছেন। কখন যে কর্মকতা/কর্মচারীরা তাদের নিজেদের পাতানো মৃত্যুকুপে পড়ে জীবনে ইতি টানতে হচ্ছে এমন প্রশ্নই এখন চাওর হয়ে উঠেছে। সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, বাস ট্রাকের চাকায় যেভাবে পাথরকুচি ছুটে আসছে তাতে সাধারণ পথচারীদের চোখসহ শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেক পাথরকুচি আমাদের দোকানের ভেতরে ছুটে আশায় আমরা ভীত অবস্থায় রয়েছি। পথচারী ও সাধারণ জনগণের অভিযোগ, সড়কটি নির্মাণকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় সম্প্রতি বাস-ট্রাক মোটরসাইকেল ও বালু বোঝাই কাকড়া কেড়ে নিয়েছে বেশ কয়েকজনের প্রাণ।
ব্যবসায়ী, আইনজীবি, চাকুরীজিসহ আরও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সড়ক ও জনপথের প্রধান অফিরে সম্মুখস্থ কালভাট নির্মান করা হলেও এক পাশে বড় ধড়নের গর্ত এখন মরন ফাঁদ। উদাসিন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকতারা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। অথচ সড়ক বিভাগ জনগনকে ঝুকিপুর্ন থেকে রার কাজ তারাই করছেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ও জননপথ বিভাগ কি অন্ধ হয়ে গেছে। তারা কি নিজেদের সম্মুখে এমন মরন ফাঁদ সংস্কার করার যোগ্যতা নেই ? সড়ক বিভাগ উদাসীন না হয়ে দ্রুত এই মরন ফাঁদ থেকে নিজেরা ও জনগনকে দুর্ঘটনা থেকে রা করতে উদ্যোগী হবেন বলে আশাবাদী।
মন্তব্য করুন