কনকপুর ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধাব ও প্রতিবন্ধী ভাতায় স্বজন প্রীতি

December 28, 2020,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮ নং কনকপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে বয়স্ক,বিধাব ও প্রতিবন্ধী ভাতায় অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমান মেম্বারের মেয়ে, সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী সহ সরকারী চাকুরীজীবিকে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অথচ অস্বচ্ছল প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, উক্ত ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জমসেদ খাঁনের মেয়ে জেনি বেগম (উপকার ভোগীর আইডি নং- ০৩৫৮০০০৩১২৯,এন.আই.ডি নং-৮৬৭০৭৭৯৯৬৯)অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন । সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী মো: সুন্দর মিয়া এক চোখে সমস্যা থাকার কারনে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকেন। যার উপকার ভোগীর আইডি নং-০১৫৮০০৪৭৫৫২ ও এন.আই.ডি নং- ৮৬৭১০৫৪৭৩৫। তার ছেলে বিদেশ প্রবাসী ও স্ত্রী সাবেক মহিলা সদস্য ছিলেন। সত্যেন্দ্র বৈদ্য বারহাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তার এক পায়ে সামান্য সমস্যা থাকলে ও ভাল ভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সরকারী চাকুরী করে তিনি সম্পূর্ন সচ্ছল। যার উপকার ভোগীর আইডি নং-০৩৫৮০০০৯৪৮৩ ও এন.আই.ডি নং- ৪১৭০৯৫০৩৭১৪। এই ভাবে ৭ নং ওয়ার্ডের অনেক সচ্ছল ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক,ও বিধাবা ভাতা ভোগ করছেন। কিন্তু অসচ্ছল প্রকৃত প্রতিবন্ধী,বয়স্ক,ও বিধাবা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্বজন প্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ৮ নং কনকপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে বয়স্ক,বিধাব ও প্রতিবন্ধী ভাতায় নাম দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত প্রতিবন্ধী,বয়স্ক,ও বিধবারা থেকে যাচ্ছে হিসাবের বাহিরে। এ বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক কনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরীকে বিকাল ৪.৪৯ মিনিটে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com