শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশ

April 21, 2018,

সাইফুল ইসলাম॥ বাংলাদেশের বনবাদাড়ে প্রায় সাড়ে ৭০০ প্রজাতির অর্কিডের জন্ম। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ১৩০ প্রজাতির অর্কিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারমধ্যে লাউয়াছড়া চাউতলী বিট এলাকার ২০ প্রজাতির উদ্ভিদে অর্কিডের ফুলের দেখা পাওয়া যায় ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। দুর্লভ ফুলের অর্কিড প্রজাতিটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে! প্রজাতিটি সংরক্ষণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্যোগী হবেন বলে আশা করছি।

২১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে অর্কিড বিষয়ে এক মতবিনিময়কালে এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মিসেস নাসিম ইকবাল।

অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ২০-২১ এপ্রিল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন এলাকায় দুইদিন ব্যাপী এক পরিদর্শনে চারপ্রজাতির অর্কিড ফুলের সন্ধান পেয়েছেন। আর ১৬ প্রজাতির বিভিন্ন অর্কিড হারিয়ে গেছে। চার প্রজাতির অর্কিডের নাম হল,ডেনড্রোবিয়াম পিরারডি, ভ্যান্ডা টেরেস, সিমবিডিয়াম আলাইফলিয়াম ও একামপি পাপিলেস। অর্কিড সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানা ছিল না তাদের। ১৯৮৯ সালে অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশ নামে এ সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সদস্য অর্কিড গবেষক আবু জাফর শামসউদ্দীন, ডা. ফয়জা এলা কামাল ও মোছা. সালমা বিনতে নুর প্রমুখ।

ডা.ফয়জা এলা কামাল বলেন, ‘গত কয়েক দশক থেকে ঢাকায় বাসা বাড়িতে অর্কিড চাষ হচ্ছে। এটি একটি জনপ্রিয় শখ। বাংলাদেশে যদিও এটি গোলাপের ক্ষেত্রে এটি একটি বাণিজ্যিকভাবে অর্কিড চাষ নেই। অর্কিড চাষ যদিও থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় এবং সিঙ্গাপুরের লাভজনক ক্যাপ ফ্লাওয়ার শিল্পে পরিণত হয়েছে। এখন যদি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দ্বারা ধারাবাহিকভাবে প্রজনন বাড়ানো হয় তাহলে এ শিল্পের জন্য অনেক ভাল গুণ তৈরি করবে। এই অমূল্য প্রজাতির অর্কিড সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের নামে কাজ করা হচ্ছে। আমরা মনে করি আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা উচিত যাতে ক্ষতির পরিবর্তে এই অর্কিড জনপ্রিয়তা এবং যতœ নেওয়া হতে পারে। আমরা বাংলাদেশের অর্কিড সোসাইটি এর পক্ষে ১৯৯০ সালে ঢাকায় দিনব্যাপী অর্কিড শো আয়োজন করেছিলাম।

আমরা মনে করি বন বিভাগ,বনে বসবাসরত আদিবাসী লোকজন সচেতন হতে হবে। অর্কিড বিলুপ্ত না হয়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত তারা আদিবাসী অর্কিডের ছবি তুলবে এবং মিডিয়াতে তা প্রচার করে আনবে।’

অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশে সদস্য ও গবেষক আবু জাফর শামসউদ্দীন বলেন,‘এক সময় দেশে ৭৫০ প্রজাতির অর্কিড ছিল। বর্তমানে ১৩০প্রজাতির অর্কিডের বেশী দেখি না এখন।  পরিবেশ প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। থাইল্যান্ডের অর্কিড হাইব্রিড। এর স্থায়িত্ব এক থেকে দেড় মাসের বেশী হয় না। কিন্তু আমাদের অর্কিড সুগন্ধিযুক্ত। পরিবেশের জন্য খুবই জরুরী। আমাদের দেশের অর্কিড দেশের বাইরে নিয়ে হাইব্রিড করা বিশেষ করে থাইল্যান্ড প্রচুর মুনাফালাভ করছে।’

 

 

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com