লিগ্যাল এইডঃ আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় বিত্তহীন বিচার প্রার্থীদের আশার আলো”

July 4, 2017,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা মানব সভ্যতা ও মানব জাতির অগ্রাভিযানের ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়। দুটি বিশ^যুদ্ধ হত্যাযজ্ঞ, ধংসাভিযান ও আনবিক বোমার ব্যবহারে মানব সভ্যতার ভিত কেঁপে ওঠে। লীগ অব নেশনস এর ব্যর্থতাও বিশ^যুদ্ধের ভয়াবহ বিপর্য্যয়ে বিশ^ সমাজ একটি শান্তিও সমৃদ্ধির পৃথিবী গড়ার লক্ষে গঠনকরন বিশ^মানবের আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্মিলিত জাতিসংঘ ইউনাইটেট নেশনস অর্গানাইজেশন (ইউ, এন, ও,)। একটি লিপিবদ্ধ ও বিধিবদ্ধ বিধান ধারা জাতিসংঘ পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত সকল রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সকল আইন কানুন বিধিবিধান মেনে চলতেই হয়। জাতিসংঘ ছাড়াও দেশে দেশে আঞ্চলিক পর্যায়েও রয়েছে ই,ইউ, -সার্ক- জাতীয় আঞ্চলিক সংস্থা সমূহ। একটি আইনগত কাঠানোর উপর দাড়িয়ে আছে আধুুনিক বিশ^। বলাই বাহুল্য আধুনিক বিশে^ আইনের শাসনের বিকল্প নেই।
একটি রক্তক্ষয়ী সসস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যূদ্বয়। সাম্য মৈত্রী গনতন্ত্র মানবাধিকার ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভোদ্ধ লিপিবদ্ধ স্বাধীন বাংলাদেশের বাহাত্তোর সালের সংবিধান একটি চমৎকার মানবিক দলিল। তাবত পৃথিবীর লিখিত সংবিধান সমূহের মধ্যে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান একটি উৎকৃষ্ট সংবিধান। একটি দেশের লিখিত সংবিধান সেদেশের সকল আইনের আধার ও উৎস।
একটি আধুনিক কল্যানকামি রাষ্ট্রের স্তম্ভত্রয়- ১) আইন, ২) বিচার, ৩) নির্বাহী- স্বতন্ত্র ও স্বাধীন-সংবিধান মোতাবেক।  বাংলাদেশের-রাষ্ট্রের এই তিনটি স্তম্ভ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন হলেও ইতিপূর্বে বিচার বিভাগ কখনও সম্পূর্ন স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি। ফলতঃ আইনজীবী সমাজের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও পৃথকিকরন। এই নিয়ে আইনজীবী সমাজকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। আইনজীবী সমাজের অবিসংবাদিত নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শামসুল হক চৌধুরীকে হু.মু. এশর্^াদী শাসনামলে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে।

অবশেষে মাজদার হোসেন মামলার রায় ও বারো দফা দিক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগের পৃথকি করণ ও স্বাধীনতা সম্পূর্ন নিশ্চিত হয়। সাংবিধানিক বিধিবিধান এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত এর রায় ও দিক নির্দেশনায় বিষয়টি পরিপূর্ন রুপে ফয়সলা হয়ে গেছে। এখন এর বিরোধিতা ও টাল বাহানা করা আদালত অবমাননার সামিল।
মাজদার হোসেন মামলার রায় এর বারো দফা দিক নিদের্শনার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন বিচার বিভাগকে অধিকতর গতিশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক করা, বিচারকের বদলী, পদোন্নতি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত মান্যবর প্রধান বিচারপতি মিঃ সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মতামত ও পরামর্শ আইন মন্ত্রনালয় উপেক্ষা করেছেন। এতদসংক্রান্ত ব্যাপারে বার বার সরকার পক্ষ থেকে সাবকাশ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেলকে বিব্রত বোধ করতে হয়েছে, কারন বাংলাদেশের মহামান্য প্রধান বিচারপতি মিষ্টার জাষ্টিস এস.কে সিনহা সরকারি অসহযাগীতা এবং অহেতুক বারংবার সাবকাশ প্রসঁেঙ্গ নাখোশ-নারাজ হয়ে উষœা ও অসন্তুষ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য মানবতাবাদি বিজ্ঞ বিচারক বাবু সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতির গুরুদায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে দ্রততম সময়ে স্বল্প খরচে অসহায় বিচারপ্রার্থী গনের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করনের জন্য বিভিন্ন সংস্কার কর্ম্মসূচী জাতি কর্তৃক প্রসংসিত হয়েছেন। বিশেষতঃ মামলার জট নিরসনে মান্যবর প্রধান বিচারপতির বলিষ্ট ভূমিকা খুবই ইতিবাচক ঐতিহাসিক। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ উচ্চ আদালতে লক্ষাধিক বিচারাধীন মামলা আছে। অথচ মহামান্য হাইকোর্টে জজ আছেন মাত্র চুরাশি জন। আপীল বিভাগে বিচারপতি এগারো জন থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র সাতজন। আমেরিকায় দশ লক্ষ মানুষের বিপরীতে বিচারক আছেন একশত সাতজন। ভারতে আঠারোজন থাকলেও বাংলাদেশে আছেন মাত্র দশজন। বিচারক স্বল্পতা ও সংকট নিরসনে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত মহামন্য প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবনা জনস্বার্থে তাই দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরী।
দেশব্যাপী বিদ্যমান সমস্যা ও সংকটের মাঝেও বিনামূল্যে দরিদ্র জনগোষ্টীকে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে “লিগ্যাল এইড” আশার আলো হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত। দুই হাজার সাত সালে বিচার বিভাগের পৃথকি করনের পর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর প্রবর্তন শত বৎসরের আদালত আঙ্গিনায় একটি নূতন সংযোজন। ইতিপূর্বে নি¤œ আদালত কোর্ট অব মেজিস্ট্রেসীতে জেলা প্রসাশকগন বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করতেন। তার পক্ষে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রসাশকের ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট -এ.ডি.এম.- বিচার কার্য্য পরিচালনা করতেন। তার অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেসীতে একাধিক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম থাকলে ও বিজ্ঞ বিচারকগন প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদেরকে সার্বক্ষনিক-পূর্ণাঙ্গ হাকিমি কার্য্য পরিচালনা সম্ভব হতনা। ফলতঃ মামলার তারিখ ও বিচার কার্য্যে দীর্ঘ সূত্রিতা ছিল। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর সে অবকাশ আর নেই। এখন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর বিজ্ঞ বিচারক গন শুধুমাত্র বিচার কার্য্যই পরিচালনা করেন।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী ব্যবস্থায় বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ক্ষমতা সম্পন্ন একজন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং একাধিক বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। তারা শুধুমাত্র বিচার কার্য্যই পরিচালনা করেন। ফলতঃ মামলার অহেতুক বিলম্ব এবং দীর্ঘ সূত্রিতার পরিবর্তে সহজে-স্বল্প সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। ন্যায় বিচার সুশাসন ও মানবাধিকার একজন সুনাগরিকের জন্মগত মৌলিক অধিকার। সাম্প্রতিক কালে বিত্তহীন জনগনকে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা দিতে -লিগেল এইড- ইতিবাচক অবদান রাখছে। জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। লিগ্যাল এইড এখন আইনী আন্দোলনের নাম। লিগেল এইডের কেন্দ্র থেকে মফশ^ল পর্য্যন্ত সাংঘঠনিক কাঠামোও মর্য্যাদাবান, শক্তিশালী ও মজবুত। কেন্দ্রে আছে কেন্দ্রীয় কমিটি। জেলা পর্য্যায়ে জেলার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে আছে শক্তিশালী কমিটি। প্রতিনিধিত্বে আছে জেলা আইনজীবী সমিতি, জনপ্রতিনিধী, পুলিশ প্রশাসন, এন.জিও- সুশীল সমাজের। জেলা পর্যায়ে একজন মাননীয় সহকারী জজের পদমর্যাদায় আছেন একজন লিগ্যাল এইড অফিসার, দপ্তর ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনার জন্য আছেন একদল পরিশ্রমী, উদ্দমী আইনজীবী যারা সামান্য ফি-তে মামলা মোকাদ্দমা সমূহ পরিচালনা করেন। তাঁরা লিগেল এইড এর প্যেনেল “ল-ইয়ার” বটে। আঠাইশে এপ্রিল লিগেল এইড দিবস। জাতীয় থেকে জেলা পর্যায়ে মহাসমারোহ সাড়ম্বরে দিবসটি উদযাপিত হয়। আকর্ষনীয় ব্যাতিক্রমি রে‌্যলি, সেমিনার, বিচারপ্রার্থী ও সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষর করে। এতদোপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনীর দেশ ও জাতিকে জানাতে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় লিগেল এইডের অবদান ও ভূমিকার কথা থাকে। বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলায় এ জেলার সুযোগ্য সৎ ও ন্যায় পরায়ন বিচারক মোঃ সফিকুল ইসলারে বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বে জেলা লিগেল এইড এর সাংঘঠনিক ও দাপ্তরিক কার্য্যক্রম চলছে। জেলায় আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় জেলা লিগ্যাল এইডের সকল কার্য্যক্রম বার ও বিচারপ্রার্থী জনগন কর্তৃক স্বীকৃত। প্রসংশিত। তাঁর মানবিক কার্য্যক্রমে সততা, ন্যায় পরায়নাত ও আন্তরিকতায় জেলার আদালত আঙ্গিনায় হামেসা সুবাতাস বইছে। জেলা লিগেল এইড এর বিজ্ঞ প্যেনেল ল’ইয়ার গনের গ্রহনযোগ্যতার জন্য অভিজ্ঞ আইনজীবী গনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞ প্যেনেল ল’ইয়ারগন জুনিয়র-সিনিয়র নির্বিশেষে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ ভাবে দায়িত্বপালন করছেন।
ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা চলে নবীন বয়সে একাধিক মেয়াদে জেলাবারের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে পরিনত বয়সে চার বার জেলা বারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। মহান আল্লাহর অপার রহমত ও বরকতে আমাদের সমিতির বিজ্ঞ সদস্যগন আমাকে সে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন। একাত্তরের বীর, শক্তিমান লেখক হাসান শহীদ ফেরদৌস ও জেলার বিজ্ঞ জেলা জজের দায়িত্ব পালন কালে আমার প্রস্তাব এবং তাঁর স্বদিচ্ছা মোতাবেক লিগেল এইড এর আইনী আন্দোলনকে বিচারপ্রার্থী জনগনের দোড়গড়ায় কাছাকাছি নিয়ে যাবার জন্য জেলা সদরের বাহিরে উপজেলা পর্য্যায়ে সভাও সেমিনার হয়। শ্রীমঙ্গল এবং কুলাউড়া উপ-জেলায় অনুষ্টিত দুটি আইনী সেনিমার জেলার সভাসমাবেশের ইতিহাসে ব্যাতিক্রমী সংযোজন ছিল। এখন লিগ্যাল এইড প্রসঁেঙ্গ বিচারপ্রার্থী জনগন এবং সুশীল সমাজের ধারনা পরিচ্ছন্ন হয়েছে। অবশ্য একশ্রেণীর দালাল ও টাউট লিগ্যাল এইডে ভালো আইনজীবী নেই বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, কারণ সেখানে তাদের পক্ষে টাকা আত্বসাত কিংবা বিচারপ্রার্থী জনগনের জায়গা জমি বিক্রী করে নিঃস্ব করার সুযোগ নেই। আদালত আঙ্গিঁনায় একশ্রেনীর টাউট, বিচারক, আইনজীবী পুলিশ ও হাইলেভেলে লাইন আছে বলে গ্রামের সহজ-সরল, অসহায় জনগনের টাকা আত্বসাত করে। এসব টাউট অনেক সময় নিজেদেরকে আইনজীবী সহকারী-মহুরী বলে পরিচয় দেয়। একজন বিজ্ঞ আইনজীবী দু’জন কার্ডধারী আইনজীবী সহকারী-মহুরী রাখতে পারেন। সহকারীদের সমিতি, কমিটি, অফিস আছে তাদের সংখ্যা কয়েকশত হলেও মুখে হাসি হাতে কলম বগলে ডায়েরী নিয়ে মহুরী নামধারী অনেক বাটপার আছে আদালত আঙ্গিনায়। যারা বিচারাঙ্গন বিচার বিভাগকে কলুসিত, কলঙ্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ করছে। লিগেল এইডের আইনী কার্য্যক্রমের ইমেজ ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। আদালত আঙ্গিনায় এসব আবর্জনা দূর করার জন্য টাউট এ্যক্ট এর প্রয়োগ এবং পুলিশি ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। জেলা বার এবং আইনজীবী সহকারি সমিতি কোনদিনই এসব টাউট বাটপার ও দালালকে প্র¯্রয় দেয়নি বরং এদের বিরদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসব টাউটগন নবাগত অনভিজ্ঞ আইনজীবীগনকে টার্গেট করে তাদেরকে প্রতারনা ও বিভ্রান্ত করে। নবীন আইনজীবী গনকেও এসব দালাল বাটপার প্রসঙ্গেঁ সজাগ ও সতর্ক থাকা উচিত।
আমি নিজে লিগ্যেল এইডের একজন প্যেনেলূক্ত আইনজীবী ক্রমিক এক-এ। প্যেনেলে আরও অভিজ্ঞ আইনজীবী আছেন। যাঁরা আন্তরিকতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। আমি লিগ্যেল এইড এর প্যেনেলভূক্ত আইনজীবী হিসাবে সামান্য ফি- প্রসঙ্গেঁ অসন্তুষ প্রকাশ করিনি। আমি বিনা ফিÑতে লিগ্যেল এইড এর মামলা পরিচালনা করছি। রাষ্ট্র ও বিচারপ্রার্থী জনগনকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী হিসাবে এ আমার সামান্য উপহার। লিগ্যেল এইড এর জেলা সভাপতি মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ জনাব সফিকুল ইসলামকে লিগ্যেল এইডের সভায় আনুষ্টানিক ভাবে এই সংবাদ জানিয়েছি। প্রসঙ্গঁত আরো উল্লেখযোগ্য যে, আমি আমার সকল ল’বুকস আমার জেলা বারকে মরনোত্তর দান করে দিয়েছি। যাতে আমার মৃত্যুর পরও আমার মূল্যবান আইন গ্রন্থগুলি বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগনের কাজে লাগে। এ ব্যাপারে জেলা বার সমিতিকে লিখিত অঙ্গীকারনামা দাখিল করেছি।
আঠাইশে এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস সফল হউক। দেশে সুশাসন, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্টিত হউক একজন আইনজীবী হিসাবে এই শুভ কামনা।
[লেখকঃ সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট, সাবেক সভাপতি- মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব, সাবেক পি.পি- মৌলভীবাজার জেলা, পি.পি.এ.সি.সি, মুক্তিযোদ্ধা]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

১টি মন্তব্য “লিগ্যাল এইডঃ আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় বিত্তহীন বিচার প্রার্থীদের আশার আলো””

  1. আমি ফারহানা। শহরের একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করছি। আমরা ২ বোন, কোনো ভাই নেই। মেয়ে বলে চাচারা আমাদের গ্রামের ও শহরের সম্পত্তির সব অংশ থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। বাবা তার প্রতিবাদ করলে চাচারা বলে “তোর ২টা মেয়ে তোর সম্পত্তির ব্যাপারে কিছু জানার এবং সঠিক ভাগ পাবার কোনো অধিকার নাই। জায়গায় সম্পত্তির সঠিক ভাবে বন্টন না করেই তারা নিজেদের ইচ্ছামত সম্পত্তি বিক্রি করছে কিন্তু তার ভাব আমাদের দেয় না। এই অবস্থায় আমরা অনেক অসুবিধার মাঝে আছি। আমরা ২ বোন এখন কি করবো? এর সমাধান পাবো কোথায়? লিগ্যাল এইডের কাছে অনেক আশা নিয়ে কথা গুলো বলছি, এর সমাধান পেলে অনেক উপকৃত হবো।

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com