গ্রন্থ সমালোচনাঃ সড়কের নাম বত্রিশ নম্বরঃ কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু-র একখানি অনবদ্য ও নান্দনিক কাব্য প্রয়াস
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ আমাদের মহান ¯্রষ্টা ও প্রতিপালক দোজাহানের খালিক-মালিক সর্ব্বশক্তিমান-মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব এবং আমাদের পিয়ারা নবী মহামানব হযরতঃ মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ)-র নিকট মানব জাতির ত্রান ও কল্যানের জন্য প্রথম যে বানীটি প্রেরন করেন তাহল- “ইকরা” পাঠকর। আসমানী কিতাব পবিত্র আলকোরআনে আল্লাহ বলেন “ ইকরা বিছমি রাব্বুকাললাজি খালাক- খালকাল ইনছানা মিন আলাক”-। ইসলামী আইনের দ্বিতীয় উৎস হাদিসে রসুলুল্লাহ (দঃ)। শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মহানবী মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) বলেন- “শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদুর চীনে যাও”-। মানুষের জীবনে পুস্তক ও পঠন পাঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে সর্ব কালের সেরা দার্শনিক ক্লাসিক গ্রন্থ “ওয়ার এন্ড পিস” প্রনেতা লিও টলস্টয় বলেন- “মানুষের জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন খুব বেশি- এই জিনিসত্রয় হল: বই, বই এবং বই।
মানব সভ্যতার ক্রম বিকাশের ইতিহাস-বিকাশ ও বিবর্তনেরই ইতিহাস। জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞানার্জন, বিকাশও বিবর্তনের মাধ্যমে আদি গুহামানব থেকে আধুনিক মানব সভ্যতা ও মানব জাতির উত্থানে বিকাশও বিস্তৃতি। শিক্ষা ও জ্ঞানর্জনের মাধ্যমে মানবজাতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং নব নব আবিস্কার এর মাধ্যমে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব-আশরাফুল মক্লুখাত হিসাবে প্রকৃতিতে প্রধান্য বিস্তার এবং কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিষ্টা করেছেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব হিসাবে খ্যাতিও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
সনাতন ধর্মেও শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। “ছাত্রায়ানাং অধ্যায়ানং তপঃ”- কিংবা বিদ্যাদধাতি বিনয়ং- নীতি বাক্য সমূহ সকলের জানা।
বলাই বাহুল্য যে, প্রকাশনা শিল্প জাতীয় পর্য্যায়েই সংকটের সম্মুখীন। সামাজিক মূল্যবোধের মারাত্মক রকমের অবক্ষয়, নীতি কথাও নৈতিকতার ক্রমবোনতি, দুবৃত্তায়ন ও ভ্রষ্টাচারের জোয়ারের মাঝেও জাতীয় পর্য্যায়ে একুশের বই মেলা কেন্দ্রীক পুস্তক প্রকাশ- বিক্রয়-বিপনন-সেমিনার পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। একুশের বাংলা একাডেমীর বই মেলায়ই সতোরো কোটি মানুষের দেশে মাত্র সতেরো দিগুনে চৌত্রিশ শত পুস্তক প্রকাশিত হয় বিক্রয় হয় মাত্র অর্ধশত কোটি টাকার মত। প্রকাশিত পুস্তকের মধ্যে ভাষাও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষনা মূলক পুস্তকের সংখ্যা কয়েক শতও নয়। তবুও বাংলা একাডেমী আয়োজিত একুশের বই মেলা জাতির প্রানের মেলা হিসাবে স্বীকৃত। একুশের বই মেলার ইতিবাচক অবদানও অনেক।
জাতীয় পর্য্যায়েই যেখানে প্রকাশনা শিল্প সমস্যা ও সংকটের সম্মুখীন সেখানে মফস্বলে পুস্তক প্রকাশ বিক্রয়-বিপনন দুরহ কাজ-দুঃসাহসী কাজ। মফস্বলে পেশাদার প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা হাতে গুনা। পাঠক-ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। জাতীয় থেকে জেলা পর্য্যায়ে প্রকাশনা শিল্পের বিরাজমান সমস্যা ও সংকটের মাঝেও মফস্বলে প্রকাশনা সংস্থা- কোরাস, ১৯ শমসেরনগর রোড, চৌমুহনা, মৌলভীবাজার বিগত একুশের বই মেলা সতেরোতে প্রকাশ করেছেন কবি ও সংঘটক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু-র আকর্ষনীয় কাব্য গ্রন্থ -“সড়কের নাম বত্রিশ নাম্বার”-। সাড়ে আট ফর্মার গ্রন্থের একশত ছত্রিশ পৃষ্টায় মুখপাঠ্য কবিতা স্থান পেয়েছে। ভাষা বিজ্ঞানী-গবেষক ও বিশ্লেষকগন প্রবন্ধকে একজন মননশীল লেখকের মৌলিক চিন্তা-চেতনার মৌলিক ফল ও ফসল এবং কবিতাকে হৃদয়ের রক্তক্ষরন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু এর কাব্য গ্রন্থ -সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর- এ তার কবি মনের মর্মবেদনা প্রকাশ করেছেন, হৃদয়ের রক্তক্ষরন ঘটিয়েছেন। কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু ব্যাক্তিগত ও কর্ম্মজীবনে হিসাব বিজ্ঞানের কৃতি ছাত্র, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স শেষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করতঃ কর্ম্ম জীবন শুরু করেন বেসিক ব্যাংক-এ। সেখানেও কাব্য চর্চাও কাব্যালোচনার ভূবন নয়-টাকা আনা পাই এর হিসাব নিকাশ। বেসিক ব্যাংক এর বর্নাঢ্য কর্ম্মজীবন শেষে তিনি উপ-মহাব্যবস্থাপক ডি.জি.এম. পদ থেকে অবসর গ্রহন করলেও জীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন নি। কর্ম্ম জীবনেও কবি সৈয়দ মোসাহিদ ছিলেন একজন মনে প্রাণে কবি। কর্ম্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে কাব্য চর্চা করেছেন। কঠিন ও জটিল ব্যাংকিং জীবন শেষে এখন তিনি সার্বক্ষনিক কবি, সমাজসেবি ও সংঘটক। কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব আন্তরিকতা ও কৃতিত্বের সাথে পালন করছেন। সমাজ সেবি সৈয়দ মোসাহিদ বর্তমানে অবৈতনিক ভাবে জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনরত। সমিতির মাতারকাপনস্থ সু-বিশাল চক্ষু হাসপাতালটি দেক ভালের জন্য সকাল-বিকালই কর্ম্ম তৎপর-কর্ম্ম চঞ্চল কবি সৈয়দ মোসাহিদ।
গ্রন্থকার হিসাবে কবি সৈয়দ মোসাহিদ এর এটি চতুর্থ কাব্য প্রয়াস। ইতিপূর্বে তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হল দুই হাজার এগারো সালে ১. সূর্য্য ওঠার গান, দুই হাজার বারো সালে ২. ভালোকথার পংক্তি গুচ্ছ এবং দুই হাজার তেরো সালে ৩. ভালো কথার পংক্তি গুচ্ছ -দুই- ও পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল।
কবি সৈয়দ মোসাহিদ আমার চুন্নুর চতৃর্থ কাব্য গ্রন্থ- সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর- কাব্য গ্রন্থের উনসত্তোর পৃষ্টায় পঞাশ নম্বর কবিতা। কবি বলেন,
-“সড়কের নাম ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর
ধানমন্ডি লেইকের উত্তর পাশে ছায়া শীতল বাড়ি
-কাদোঁ বাঙ্গাঁলী কাঁদো, কাঁদো বার বার
এই ক্রন্দন শুধু শোকের নয়, মুখ লুকাবার-”।
বলে একত্রিশ পংক্তির কবিতাটি শেষ হয়েছে। কবিতার বিষয়বস্তু, পচাত্তোরের পনেরই আগস্ট সুবহে সাদেকের সময় স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাননকে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে তার বাসভবনে একটি আধা সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যাকরা হয়। বত্রিশ নম্বরের পনেরোই আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ড বিভিন্ন সময় বাংলা কবিতায় এসছে। কবি নির্মলেন্দু গুন আসলাম সানিরা পনেরোই আগষ্টের শোকাবাহ ঘটনা কবিতার পংক্তি, ছন্দে বর্ননা করেছেন। কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু এই ধারারই অনুসারি। কবি হিসাবে তিনি স্বদেশ স্বজাতি এবং জাতির নেতার প্রতি অনুরক্ত। অঙ্গীঁকারবদ্ধ। স্বদেশপ্রেম ও স্বাদেশিকতায় উদ্ভোদ্ধ। উক্ত কাব্য গ্রন্থে প্রেম, প্রকৃতি ও মানবতাবাদের সুর ধ্বনিত হয়েছে। বঙ্গঁবন্ধুর হত্যাকান্ড বিষয়ক স্বতন্ত্র কবিতাও আছে এই কাব্য গ্রন্থে। বেয়াল্লিশ পৃষ্টায় ছত্রিশনম্বর কবিতা-“পনেরোই আগষ্ট”-। এই কবিতায় কবি শুরু করেছেন এই বলে- আজ কবিতা লেখার দিন নয়
আজ কান্নার দিন
আজ আবেগের দিন নয়
আজ বিষন্ন এক বেদনার দিন
আজ বাংলার এক কালিমা মাখা দিন।
কবি সৈয়দ মোসাহিদ এই কবিতা শেষ করেছেন এই ভাবে
– “আজ ১৫ই আগষ্ট
আজ মীর জাফর চেনার দিন
আজ মুজিবের বাংলাকে বাচানোর
শফত নেবার দিন-”
সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর -“কাব্যগ্রন্থের পয়ষট্টি নম্বর কবিতা বঙ্গঁবন্ধু। আড়াই পৃষ্টা ব্যাপী কবিতাটির উপসংহারে বলা হয়েছে-
“বঙ্গঁবন্ধু তিনি যিনি নদীর তীর ঘেষে
ছবির মত সাজানো একটি অচেনা গাম হতে
আদরের খোকা একটি জাতির পিতা হতে শেখায়
বঙ্গঁবন্ধু তাঁর অবর্তমানে আমাদের শুধু প্রেরনা যুগায়
বাংলাকে একটি আত্বনির্ভরশীল জাতি হতে শিখায়
বঙ্গঁবন্ধু প্রতিদিন আমাদের
শুধু শেখায় শুধু শেখায় শুধু শেখায়।”
সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর কাব্য গ্রন্থের একশত কবিতার মাঝে বঙ্গঁবন্ধু বত্রিশ নম্বর ছাড়াও প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা স্থান পেয়েছে। জলেভাষা আয়লান, একুশ, এক, দুই, তিন, শ^াস্বত সৌন্দর্য ও শাহজাহানের স্বপ্ন শতদল তাজমহল, মনু নদী, এক দুই, এক বাক্যে সুশাসন চাই, আমাদের হুমায়ুন আহমদ, মায়ের উপমা মা, বড় আপা আমাদের বাতিঘর, ইলিশের জারী গান, রুখো দূর্নীতি, ভালো মানুষ খুঁজি, এবং এক বিশ^ এক জাতি কবিতা গুলি তাঁর যুগ সচেতনতা ও মানব প্রেমের বহিঃ প্রকাশ। কাব্য গ্রন্থের কবিতা গুলি সহজ। সরল। ঝর ঝরে। সুখপাঠ্যও বটে। গ্রন্থখানির প্রকাশকাল একুশের বই মেলা দুই হাজার সতেরো। স্বত্ব নাছিমা মোসাহিদ। মুদ্রনে শব্দ কলি পৃন্টার্স, ৭০, ঢাবি মার্কেট, কাটাবন, ঢাকা। মুদ্রন বিভ্রাট নেই। ছাপা ঝক ঝকে। ভিতরের কাগজও সাদা অফসেট। প্রচ্ছদ এঁকেছেন রুদ্র ভাষ্কর। প্রচ্ছদ আকর্ষনীয়। রূচিশীল। মেজাজি। মানসম্মত। প্রথম কভার শোকাবহ কালো রং বত্রিশে লালচে আভা। শেষ প্রচ্ছদ একরঙ্গাঁ রক্ত লাল- অর্থ বোধক। সাড়ে আট ফর্মার আকর্ষনীয় বোর্ড বাধাই, ভিতরে অফসেট কাগজ সমেত আকর্ষনীয় ও রূচিশীল গ্রন্থ খানির মূল্য দুই শত পাঁচপান্ন টাকা খুব বেশি নয়, কমই বলা চলে। প্রচ্ছদের তৃতীয় পৃষ্টায় কবির সচিত্র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠকদের বাড়তি পাওনা।
বুক রিভিউ আমার প্রিয় বিষয়। এক ওছিলায় সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ খানাকে একাধিকবার পাঠ করত: আত্বস্থ করতে হয়। প্রয়োজনে- প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিঁক- রেফারেন্স পুস্তক ঘাটতে হয়। তারপর ভালোমন্দ দু’লাইন লিখতে হয়। বিশ^ সাহিত্যে ক্লাসিক গ্রন্থ লিও টলস্টয়ের ওয়ার এন্ড পিস, বর্নবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদ এর মহান দলিল এ্যলেক্সে হ্যোলির রুটস- ( যা আশির দশকে বি.টি.ভি তে প্রচারিত হয়ে সাড়া জাগিয়ে ছিল) শ্রদ্ধেয় শিক্ষা গুরু সাবেক সচিব ও হাই কমিশনার কবি মোফাজ্জল করিম এবং বৃহত্তর সিলেটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় শ্রদ্ধেও কে.কে পাল চৌধুরীর একাধিক গ্রন্থ রিভিউর চেষ্টা করেছি, কলামও লিখেছি।
স্বাধীনতা উত্তরকালে মৌলভীবাজার পৌরসভা মিলনায়তনে কবি গোলাম কবিরের “হে সময় হে বন্য শত্রুরা” কাব্য গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবের মাধ্যমে এতদাঞ্চলে প্রকাশনা উৎসবানুষ্টানের শুভ সূচনা ঘটিয়ে ছিলাম আমি এবং আমার সাংবাদিক বন্ধু আজিজুল হক ইকবাল মরহুম। অতঃপর আমি এবং কবি, মানবাধিকার সংঘটক এবং আইনজীবী কিশোরী পদ দেব শ্যামল কবিও কবিতা সংগঠন অনুপ্রাশের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে প্রকাশনা উৎসবানুষ্টানের চর্চা চালু রাখি। সৌভাগ্যক্রমে আমার একাধিক গ্রন্থ ইতি পূর্বে একুশের বই মেলা নজরুল মঞ্চে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি আল মোজাহিদী, কবি শাহজাহান হাফিজ, মোহন রায়হান এবং নিসর্গ বিদ দ্বিজেন শর্ম্মার আতিথ্যে মোড়ক উন্মোচিত হয়েছিল। প্রকাশনা উৎসবানুষ্টান আনুষ্টানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন প্রকাশিত গ্রন্থের শুভ জন্মদিন। এই জাতীয় শুভানুষ্টানে সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থের চুলচেড়া আলোচনা-সমালোচনা বিচার বিশ্লেষন এবং গ্রন্থকারের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু, কল্যান এবং প্রকাশিত গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করা হয়। অপেক্ষাকৃত লাজুক ও আত্ব প্রচার বিমুখ গ্রন্থকার কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর গ্রন্থের এই জাতীয় উৎসবানুষ্টান কোথাও করেন নি।
“সড়কের নাম বত্রিশ নম্বর” কাব্য গ্রন্থের বহুল প্রচার এবং গ্রন্থকার কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নুর সুস্বাস্থ্য, দির্ঘায়ু এবং সার্বিক কল্যান কামনা করি।
[ষাটের দশকের কবি ও সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব]
মন্তব্য করুন