ভোট-জোট মহাজোট এবং তথ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার হাসানুল হক ইনুর আশি বিশপয়সী তত্ব সমাচার

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ বহুধাবিভক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জাসদ- একাংশের সভাপতি, মহাজোট সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার হাসানুল হক ইনুর নিজ নির্ব্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়ার মীরপুরে স্থানীয় জাসদ ইনু আয়োজিত একটি জনসভায় মহাজোট সরকারের প্রধানশরীক দল দেশের প্রাচীন এবং অন্যতম বড় দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রসঙ্গেঁ কতেক আজগুবি হাস্যকর অনভিপ্রেত ও অসত্য ভাষন এবং অভিনব আশি-পয়সা-বিশপয়শী তত্ব বাংলাদেশের সমাজ রাজনীতি ও সরকারি অঙ্গঁনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সুদর্শন ও সুবেশী ইনু কোন সুবক্তা নহেন। তার কন্ঠ ভরাট, ভাষা প্রাঞ্জল নয়। জ¦ালাময়ী বক্তা না হলেও তাঁর জনসভার ভাষন আবেদনও আকর্ষনীয় নয়। তিনি নাকি সুরে কথা বলন, যেন নাকি কান্না করেন। জাতীয় সংসদের নির্ব্বাচন আসন্ন। নির্ব্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সাথে সফল সংলাপ সমাপ্ত করেছেন। বি.এন.পির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সদলবলে রুহিঙ্গাঁ শরনার্থী শিবিরে গমন, ত্রান বিতরন এবং পথে পথে বাধভাঙ্গাঁ জন জোয়ারে কেন্দ্র থেক তৃনমূল পর্য্যন্ত বি.এন.পির নেতা-কর্মিদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে, বিএনপি-র নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোটে নুতন মাত্রা যোগ হয়েছে। জোট নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ আসন ভিত্তিক আনাগুনা শুরু করেছেন। শাসক দল হিসাবে আওয়ামীলীগ হাই কমান্ড প্রার্থী বাছাইর প্রাথমিক কার্য্যক্রম-নজর দারি শুরু করেছেন। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ দলের একজন প্রভাবশালী নেতা। দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ। একান্ত আস্থাভাজনও। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ এর সংসদীয় আসন এক এলাকায়-কুষ্টিয়ায়। মাহবুবুল আলম হানিফ সমর্থক গন আওয়ামীলীগ আয়োজিত একটি জনসভায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তার দলের সমালোচনা করে বক্তৃতা দেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এতে আতে ঘা লাগে ঐ আসনে মহাজোট মনোনয়ন প্রত্যাশী, জাসদ সভাপতি তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর। আওয়ামীলীগের জনসভা ও সভার বক্তবের প্রতিবাদে স্থানীয় জাসদ কর্তৃক জনসভা আহ্বান করান ক্ষুব্দ জাসদ সভাপতি হা,হ, ইনু। দল হিসাবে জাসদের সাংঘঠনিক কাঠামো ভেঙ্গেঁ পড়েছে। প্রতিষ্টাকালীন সময়ের সেই চমক, রমরমা দিন আর নেই। বহুধাবিভক্তি, হটকারিতা, প্রতিষ্টাকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মৃত্যো, দল ত্যাগ, দেশ ত্যাগে জনসমর্থনও নেই – শতকরা হারে একভাগ ও নয়। কাজেই জাসদের জনসভায় এত লোক হওয়ার কথা নয়। তবুও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বেশ কিছু লোক সংগ্রহ করা হয় জাসদের সেই জনসভায়। ভাবখানা এই জাসদ সভাপতি তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নির্ব্বাচনী এলাকায় তার প্রভাব প্রতিপত্তি জনপ্রিয়তা আছে। একটি মনোনয়নী জাসদী শোডাউন দেখিয়ে দিলেন তিনি। এক এগারো সতেরো তারিখে মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভার স্থানে এক সপ্তাহান্তে আটই নভেম্বর নিজের জারীজুরী বাহাদুরী দেখালেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। জাসদী জনসভায় আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে হাসানুল হক ইনু বল্লেন- “আপনি আশি পয়সা। আর এরশাদ, দিলীপ বড়–য়া, মেনন আর ইনু মিললে একটাকা হয়। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমরা যদি না থাকি তাহলে আশি পয়সা নিয়ে রাস্তায় ফ্যা-ফ্যা করে ঘুরবেন। এক হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না। জাসদকে দূর্বল ভাবার সুযোগ নেই। জাসদের কর্মিরা চোর ডাকাত সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজ নয়। আমি কারো দয়ায় মন্ত্রী হইনি”- জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন-“ঘরে ঘরে যদি উন্নয়ন দেখতে চান তাহলে সমাজতন্ত্র একমাত্র উন্নয়নের পথ।”- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আশি-বিশপয়শী অভিনব তত্বে দেশব্যাপী তোলপাড় ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। জাতীয় দৈনিক সমূহ একাধিক কলাম ব্যাপী আকর্ষনীয় হেডিং সহকারে সংবাদ পরিবেশন করেন। সান্ধ্যকালীন ও মধ্য রাতের টক-শো- সমূহে টিভি ব্যাক্তিত্ব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন অম্ল-মধুর আলোচনা করলেও ইনু সাহেবের এহেন মন্তব্য অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন। তার এই অভিনব ও আজগুবি তথ্যের ব্যাখ্যা দিতে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন তথ্য মন্ত্রী মহোদয়। মহাজোটের পক্ষে সাফাই গাইলেও নিজ বক্তব্যকে অস্বীকার করেন নি তিনি। অথছ প্রকৃতপক্ষে মহাজোট না থাকলে দেশ জাতি ও আওয়ামীলীগের কোন ক্ষতি হবেনা, ক্ষতি হবে বিশপয়সী শরীকদের। জোট ভূক্ত ভোট না হলে ইনু, মেনন, বড়–য়া বাবুরা এক সিটও পাবেন না।
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিশ পয়শী ও হাজার বছরী তত্ব প্রসঙ্গেঁ শাসক দল আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মাননীয় সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- “ইনু সাহেব অভিমান-ক্ষোভ থেকে বোমা ফাটিয়েছেন-”।
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তার প্রতিক্রিয়ায় আরো অভিমত ব্যক্ত করেনে যে, বিষয়টি চৌদ্দ দলের মুখপাত্র আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দেখবেন। মোহাম্মদ নাসিম জাসদ সভাপতি হা.হ.ইনু সাহবের বোমা ফাটানো বক্তব্য আমলে না নিয়ে বিচক্ষন রাজনীতিবিদের মত এই বর্ষীয়ান নেতা চৌদ্দ দলে কোন টানা পোড়ন নেই বলে দায়িত্ব পালন করেন।
জোট দেশ-উপমহাদেশে নুতন কিছু নয়। একটি নির্দিষ্ট জাতীয় স্বার্থকে কেন্দ্র করে একাধিক রাজনৈতিক দলে ইস্যু ভিত্তিক ঐক্য হয়। পাকিস্তানী ঔপনিবেষিক শাসনামলে বাংলা ও বাঙ্গাঁলির জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে ঐক্য হয়েছে। পাকিস্তান প্রতিষ্টার পরই হক-ভাষানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন মুসলিমলীগ সরকারের বিরুদ্ধে তিন নেতার ঐক্য এবং চুয়ান্ন সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্ব্বাচনে যুক্ত ফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয় এবং মুসলিম লীগের ভরাডুবি উপমহাদেশীয় রাজনীতি ও নির্ব্বাচনী ইতিহাসে ঐতিহাসিক অধ্যায়। আয়ূবীস্বৈর শাসনের বিরুদ্ধেও জোট গঠিত হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ডেমক্রেটিক এ্যকশন কমিটি-ডাক এবং ছাত্রলীগ এর নেতৃত্বাধীন ষ্টুডেন্টস এ্যকশন কমিটি-‘সাক’ আয়ূব বিরোধী আন্দোলন জোরদার করেছেন। সর্ব্বোপরি ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ঐতিহাসিক এগারো দফা কর্ম্মসূচীর মাধ্যমে স্বৈর শাসক স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খান বিরোধী আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ লাভ করে, ছাত্র সমাজের বিজয় হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধ গতি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝে ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে শাসক দল আওয়ামীলীগ, ন্যাপ (মোঃ) এবং কমিউিনিষ্ট পার্টি সমন্বয়ে ত্রিদলীয় গনঐক্য জোট গঠিত হয়। এই জোট রাজনীতিতে তেমন ইতিবাচক অবদান রাখতে পারেনি। সামরীক স্বৈর শাসক লেঃ জেঃ এর্শাদ সরকারামলে দুই নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ-তিন জোটের আন্দোলনের ফলেই তার পতন হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার উষালগ্নে বাহাত্তোর সালেই শ্রেনী সংগ্রামকে তরান্বিত করে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজ তন্ত্র প্রতিষ্টার লক্ষে গঠিত হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমান্ডার মেজর এম. এ জালিল এবং স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ডাকসুর সাবেক ভি,পি, স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের চার নেতার একনেতা-অনল বর্ষী বক্তা আ.স.ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে জাসদের প্রথম জাতীয় কমিটি গঠিত হলেও দলটির স্বপ্নদ্রষ্টা ও নেপথ্য নায়ক ছিলেন, বাষট্টি সালে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্টার লক্ষে গঠিত গোপন সংঘঠন-নিউক্লিয়াস- এর জনক তাত্বিক সিরাজুল আলম খাঁন। জাসদ দেশব্যাপী হটকারি, মুখরোচক, শ্রুতিমধুরও চটকদার বক্তব্য দিয়ে নেতিবাচক সমর্থন লাভকরতঃ আলোড়ন সৃষ্টি করে। অতঃপর জাসদের নেতৃত্বে গন বাহিনী গঠিত হলে ইঞ্জিনিয়ার হাসানুল হক ইনু গনবাহিনীর উপ অধিনায়ক এর দায়িত্ব ভার গ্রহন করতঃ গন বাহিনীর কার্য্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। নিয়মিত বাহিনীর বিকল্প অসাংবিধানিক, বেআইনী ও গোপন সংস্থ্যা গন বাহিনীর ভূমিকা দেশবাসী অবহিত আছেন। গনবাহিনীর গনবিরোধী ও নেক্কারজনক ধ্বংসাত্বক কার্য্যক্রমের দায় বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার হাসানুল হক ইনু সাহেব এড়াতে পারেন না। তিনি এখন পর্য্যন্ত তার সেই ভ্রান্তির ত্রুটি স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন নি। অথচ একাধিক মেয়াদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহৎ দল বি.এন.পি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মায়নাশ করার কথা এবং তওবা করার কথাও বলেন। অথছ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু দলগতভাবে নির্বাচন করে বিজয়ের মুখ দেখেন নি, প্রথম বিজয়ের মুখ দেখেন, সাংসদ হন মহাজোটের মনোনয়নে-মহাজোট নেত্রী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দয়ায়। পাঁচই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্ব্বাচন ছিল এক তরফা-একদলীয়। সেবিজয়ে কোন সম্মান ছিলনা, বিজয়ের বাহাদুরিত নয়-ই। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে সংসদ নেতা তার ইচ্ছাও পসন্দ মত মন্ত্রীসভা ঠিক করেন, মন্ত্রনালয় নির্ধারন করেন। এখানেও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দল ও জোটে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তাঁর ভাষায় একপয়সী এবং শতকরা একভাগ ভোটের সমর্থককে মন্ত্রী বানানোর প্রয়োজন ছিল না, এখানেও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনার করুনা না হলেও দয়া ও সহানুভূতির প্রশ্নটি থেকেই যায়। অথছ মাননীয় মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সগর্ভে বলেছেন তিনি কারো দয়ায় মন্ত্রী হননি। রাজনীতিবিদ হিসাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করতে হয়- যা হাসানুল হক ইনু সাহেবদের পক্ষে তার ভাষায় হাজার বছরেও সম্ভব নয়। সসস্ত্র বিপ্লব কিংবা অভ্যোত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল সাংবিধানিক পথ নয়- যা পঁচাত্তোর উত্তর কালে এক বার ইনু সাহেবরা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ও গনবাহিনী দ্বারা দেখেছেন। বিশপয়সী শরীকদের মধ্যে রাশেদ খান মেনন সাহেবের দল ওয়ার্কার্স পার্টির সাংঘটনিক অবস্থা নড়বড়ে-দ্বিধা বিভক্ত। একমাত্র ফজলে হোসেন বাদশা ছাড়া কোথাও শক্ত প্রার্থীই নেই। মন্ত্রী হিসাবেও তিনি ফেল ও ফ্লপ। জাতীয় এয়ার লাইন্স বিমান ধ্বংস-শত শত কোটি টাকা লসে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বর্ত্তমানে স্বর্ন চোরা চালানিদের অভয়ারন্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরূপ লীলাভূমি, ইতিহাস-ঐতিহ্য মন্ডিত বাংলাদেশের পর্য্যটন শিল্পে বিপুল সম্ভ¢াবনা থাকলেও পরিকল্পনা নেতৃত্ব ও কতৃত্বের অভাবে সম্ভাবনাময় পর্য্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার-প্রচার ঘটেনি। এক্ষেত্রে বিমান ও পর্য্যটন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কে সফল বলা চলে না। আওয়ামীলীগের পরেই মহাজোটের বড় শরীক জাতীয় পার্টি (এ)- এর অবস্থাও লেজে-গোবরে। থুথু বাবা অবঃ লেঃ জেঃ হোসেন মোহাম্মদ এর্শাদ এর অবস্থা নাঘরকা না ঘাটকা। এর্শাদ পথœী জাতীয় পার্টির নেত্রী বেগম রওশন এর্শাদ বর্ত্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, আবার এর্শাদ সাহেব স্বয়ং মন্ত্রীর মর্য্যাদায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ দূত। বর্ত্তমান সরকারে জাতীয় পার্টির একাধিক মাননীয় মন্ত্রীও রয়েছেন। অথছ সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে সংসদে বিরোধী দলের নেতা বিকল্প সরকার। সংসদ নেতা কোন কারনে সংসদে সংখ্যাগরিষ্টাতা হারালে সংসদে বিরোধী দলের নেতা সরকার গঠনের ডাক পান। কিন্তু বর্তমানে বিরোধী দল ও সরকার একাকার হয়ে গেছেন।-সংসদীয় গনতন্ত্রের চেতনা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস-ধুলিস্যাত করেছেন। দলগতভাবে জাতীয় পার্টি ও পূর্বের রম রমা অবস্থায় নেই-বিভক্তি-বিভ্রান্তি-দলীয় প্রধান এইচ.এম. এর্শাদের স্বিদ্ধান্ত হীনতা ও দ্বিমুখী চরিত্রের কারনে বৃহত্তর রংপুর কেন্দ্রীক জাপায়ও এখন ধ্বস নেমেছে। বিগত উপজেলা ও পৌরসভা নির্ব্বাচনে এর্শাদ পন্থী জাপার ভরাডুবী-ই তার প্রমান। কাজেই জাসদ
সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আশি-বিশপয়সী তত্বের বিশপয়সী প্রভাব-প্রাধান্য সঠিক নয়। তাই বিশপয়সী শরীকদের ছাড়া আওয়ামীলীগ হাজার বছরে ক্ষমতার মুখ দেখবে না, রাস্তায় ফ্যা-ফ্যা করবে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর এই তত্ব সঠিক নয়। বরং বলা চলে আওয়ামীলীগের আনুকুল্য, দয়া, দান করুনা ছাড়া বিশ পয়সী শরীকগন হাজার বছর নয়, লক্ষ বছরেও ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে পারবেনা। আওয়ামীলীগ একুশ বছর বিরোধী দলে ছিল- ফ্যে- ফ্যে করেনি- আন্দোলন সংগ্রাম করেছে-তৃণমূলই আওয়ামীলীগকে বাঁচিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় করুনায় একপয়সী শরীক ইনু সাহেব মন্ত্রী হয়েছেন-সেই আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা কর্ম্মিকে ফ্যে-ফ্যে-তুচ্ছ-তাচ্ছুল্য করা অকৃতজ্ঞ ও অপরিনাম দর্শী কাজই বলা চলে। তাছাড়া মন্ত্রী হিসাবে মাননীয় তথ্য মন্ত্রী ব্যর্থ। অসফল। তাঁর কথাবার্তা-মন্ত্রনালয় বহির্ভূত বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা এবং দেশের বর্ষীয়ান আলেম অরাজনৈতিক সংস্থা হেফাজতে ইসলামের আমীর মৌলানা আহমদ শফী সাহেব- কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে তেতুল হুজুর বলে অবহেলা করাই যেনো তার মূল কাজ। অথছ তথ্য মন্ত্রনালয়াধীন এফ.ডি.সি ধ্বংস। সেক্স, ভালগার, ভায়োলেন্স, অশ্লীলতায় চলচ্চিত্র শিল্প শেষ। বি.টি.ভি সাহেব বিবি গোলাম থেকে এখন গোলামের বাক্স। মানহীন অনুষ্টান। ভারতীয় সকল চ্যেনেল আমাদের মিডিয়া ভূবন দখল করেনিলেও বাংলাদেশের টি.ভি চ্যেনেল গুলি ভারতে প্রদর্শনের সুযোগ নেই। মাননীয় মন্ত্রী হিসাবে তিনি কি করছেন দেশ ও জাতি জানতে চায়।
মাননীয় সড়ক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদের সাহেব এর ভাষ্যানুসারে, তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের মান অভিমান বিরাগভাজন শফথ ভঙ্গেঁর নামান্তর। মাননীয় তথ্য মন্ত্রী মাননীয় সড়ক মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন নি। অথছ সাংবিধানিক পদ হিসাবে মাননীয় তথ্যমন্ত্রী শফথ নিয়ে ছিলেন রাগ অনুরাগ বিরাগ অভিমানের বশবর্তী না হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। কি বলেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ?
[লেখক: সাংবাদিক। কলামিষ্ট। মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব]
মন্তব্য করুন