স্থানীয় শহীদ দিবস : বিশে ডিসেম্বর একাত্তোরের স্মৃতি ও কিছু কথা

December 19, 2017,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ একাত্তোরের বিশে ডিসেম্বর মৌলভীবাজার-বৃহত্তর সিলেট তথা দেশবাসির জন্য একটি শোকাবহ দিন। বেদনার দিন। একাত্তোরের ষোলই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও বিজয় দিবসের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতে- বিশে ডিসেম্বর সকাল বেলার প্রচন্ড মাইন বিস্ফোরন এবং ভয়াবহ দূর্ঘটনায় মৌলভীবাজারশহরবাসি নির্বাক, নিস্তব্ধ ও বেদনাবিধুর হয়ে যান। একাত্তোরের ষোলই ডিসেম্বর শীতের কুয়াশা ডাকা সকাল। ভোরের সূর্যোদয় হয়নি তখনও। মৌলভীবাজার মহকুমা সদরস্থ পৌরবাসির ঘুম তখনও পুরোপুরি ভাঙ্গেঁনি। শীতের কুয়াশা ডাকা সকালে পৌর নাগরিকদের আট পৌরে জীবনে তখনও নিঃস্তব্ধতা। ছোট মহকুমা শহরে যানবাহন চলাচল তখনও শুরু হয়নি। আট ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত হলেও নাগরিক জীবন তখনও স্বাভাবিক ছিল না। পৌর শহর ছেড়ে যারা স্থানান্তরে গিয়েছিলেন তাঁরা সকলে তখনও ফিরে আসেন নি। আট ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মূলতঃ মুক্তি বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে ছিল ছোট মহকুমা শহর। বেসামরীক প্রশাসন তখন আগোছালো। এমতাবস্থায় বিশে ডিসেম্বর সকালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বুম-বুম করে প্রচন্ড মাইন বিস্ফোরন হয়ে ধোয়া নির্গত হতে থাকে। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর বাউন্ডারি ওয়াল বোমার আওয়াজে ভেঙ্গেঁ যায়। স্কুল গৃহের চাল মাইন বিস্ফোরনে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে কয়েকশত গজ দূরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে পতিত হয়। সরকারি উচ্চ  বিদ্যালয়ে মুক্তি বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। একাত্তোরের বীর মুক্তি যোদ্ধারা শত্রু সেনা হটিয়ে বীরের বেশে স্বদেশে এসে অস্থায়ী ক্যেম্পে অবস্থান করছেন। অনেকেই আবার নিজ বাসা বাড়িতে চলে গেছেন।

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আটই ডিসেম্বর প্রিয় শহর মৌলভীবাজার এলেও আমার ক্যাম্প ও শরনার্থী জীবন শেষ হলনা। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য ষাটের দশকের শুরু থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে আমার হাতে খড়ি। বাষট্টি সালে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খাঁন স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্টার লক্ষে গোপন সংঘঠন- নিউক্লিয়াস- গঠন করেন। তাঁর ভক্ত ও সমর্থক ছিলাম। ছাত্রলীগের দায়িত্বে ও নেতৃত্বে ছিলাম। ঐ দশকে প্রথমে মৌলভীবাজার কলেজ শাখা অতঃপর সহকুমা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। একত্তোরের তেইশে মার্চ পাকিস্তানের-প্রজাতন্ত্র দিবসে- ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহুত-প্রতিরোধ দিবসে- পাকিস্তানের পতাকা এবং পাকিস্তানী জাতির জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ছবি পুড়িয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা এবং বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি উড়িয়ে ছিলাম। আমার মুসলিম কোয়ার্টারস্থ পৈত্রিক বাসগৃহ রসুলপুর হাউস রাজনৈতিক আড্ডা স্থল এবং পোষ্টার লেখার স্থান ছিল। আমি নিজেই পোষ্টার লিখতাম। ফলতঃ মুক্তিযোদ্ধের শুভ সূচনায় একাত্তোরের পচিশে মার্চ কাল রাত্রিতেই হানাদার পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা আমার মুসলিম কোয়ার্টারস্থ বাসগৃহ আক্রমন ও লুন্ঠন করে। সে রাতে আমি আমার বন্ধু ও ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল হক ইকবালের গির্জাপাড়াস্থ বাসগৃহ হক ভিলায় ছিলাম। দেশে এসে আমার বাসগৃহ বসবাস উপযোগী না থাকায় প্রথমে আমার ধর্ম বোন নাহারের বাপের বাড়ি কদম হাটায় উঠি। উনিশে ডিসেম্বর একাত্তোরে আমি আমার প্রিয় বন্ধু এস.এ. রব এর বাসভবন সৈয়দ শাহ মোস্তফা সড়কস্থ রশিদ ব্রাদার্স- এ রাত্রি যাপন করি। বন্ধুবর রব এর বাসা থেকে দূর্ঘটনাস্থল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব কয়েকশ’-গজ মাত্র। মাইন বিস্ফোরনের প্রচন্ড আওয়াজে রসিদ ব্রাদার্স এর দরজা জানালা ঝনঝন করে আওয়াজ হয়। ভূমিকম্পের মত ভূ-কম্পন হতে থাকে। খাট-পালং-আলনা নড়ে চড়ে উঠে। বোমার আওয়াজ না হলে আমরা ধরে নিতাম ভূমি-কম্প হচ্ছে। মাইন বিস্ফোরনের বিকট আওয়াজে আমি বন্ধু আব্দুর রব সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ছয়চল্লিশ বৎসর পর সেই ভয়াবহ দৃশ্য আমার স্মৃতিতে এখনও অম্লান হলেও ভাষায় বর্ননা করা কঠিন ও জটিল কাজ।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়স্থ মুক্তি বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প একটি ধ্বংসস্তুপ-ভাঙ্গাঁগৃহে পরিনত হয়েছে। মাইন বিস্ফোরনে আঘাতপ্রাপ্ত আহত বীর যোদ্ধাদের আর্তচীৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে সনাক্ত করনেরই উপায় ছিল না। বাতাসে আর্তচীৎকার ও পোড়া মাংসের গন্ধ। প্রচন্ড ধোয়া।

ইতিমধ্যে শহরময় জানাজানি হয়ে গেছে এই বিকট আওয়াজ পাঞ্জাবিদের আক্রমন নয়, সরকারি স্কুলে পাক সেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরন, অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। বিশে ডিসেম্বর সেই সকালে উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়কবৃন্দ সমবেত যুব জনতার সহযোগীতায় ক্যেম্পে অবস্থানরত মুক্তি যোদ্ধাদের খন্ড বিখন্ড দেহাবশেষ একত্রিভূত করে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব দক্ষিনাংশে সমাহিত করা হয়। ক্যেম্পে হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মবলম্বী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু লাশ সনাক্ত করন না করার কারনে জানাজা এবং সনাতন ধর্মীর মত শেষ কৃত্যানুষ্টান ছাড়া সমাহিত করা হয়। ক্যেম্পে সিলেট ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন কিন্তু মায়ামায় এই পৃথিবী থেকে শেষ বিদায় বেলা লাশের স্বজনদের শেষ দেখা হল না। মৌলভীবাজার পৌরসভাধীন সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা সড়কস্থ মরহুম তাহির বক্স সাহেবের পুত্র রহিম বক্স খোকা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বীরের বেশে নিজ শহরে ফিরে এলেও আনুষ্টানিকতার কারনে নিজের বিশাল আকারের পৈত্রিক বাসভবনে না গিয়ে স্কুল ক্যম্পেই অবস্থান করছিল। মায়ের কাছে বীরের বেশে ফিরে এলেও খোকার মায়ের কুলে ফিরে যাওয়া হয়নি স্কুল ক্যেম্পেই তার দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। পৈত্রিক বাসগৃহ থেকে কয়েক’শ গজ দূরে  স্কুল মাঠের এক কোনায় চীর শয়ানে শায়িত হন সদা হাসি খুশী-চটপটে স্মার্ট সুদর্শন তরুন আব্দুর রহিম বক্স খোকা। ঠিক তেমনি সিলেটের কাজল পাল, মোঃ সুলেমানদের শেষ ঠিকানা হল এই সমাধি স্থল। বিভিন্ন তথ্য ও সূত্র মতে মোট চব্বিশ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি স্কুল ক্যেম্পে শাহাদাত বরন করেন এবং এখানেই সবাইকে সমাহিত করা হয়। হিন্দু মুসলিমদের এই যৌথ স্থায়ী ঠিকানাকে আমি নামকরন করেছিলাম- গোরস্তান নয় শ^সান নয় – সমাধি। এই সমাধি স্থলকে পরবর্ত্তী পর্য্যায়ে তিনফুট বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে রাখা হয়। আশির দশকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলী টানা তিন মেয়াদে মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর কার্য্য কালে আমি অলাভজনক সেবা সংঘঠন মমতাজ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আমার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় বৃক্ষায়ন ও পুষ্পায়নের উদ্যোগ নেই। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রবল আপত্তিকে উপেক্ষা করে আমি আনুষ্টানিকভাবে একটি সভার মাধ্যমে শহীদানকে স্মরন ও সম্মান প্রদর্শন করে তৎকালীন পৌরপতি সৈয়দ মহসিন আলীর প্রধান আথিত্যে সম্পূর্ণ সমাধি স্থলে পুষ্পায়ন ও বৃক্ষ রোপন করি। এই কয়েক দশকে আমার লাগানো গাছ গুলি বেড়ে উঠেছে- রোদ বৃষ্টিতে ছায়ায় মায়ায় আগলে রেখেছে শহীদ সমাধি স্থলকে। এলাকায় বর্ত্তমানে তিনটি শহীদ মিনার বিদ্যমান। মরহুম পৌরপতি নির্লোভ সমাজ সেবক আলহাজ মাহমুদুর রহমানের কার্য্যকালে চব্বিশজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠিকানা উল্লেখ সহ একটি মাঝারি আকারের শহীদ স্মারক মিনার নির্ম্মান করা হয়। সমাধি স্থলের উত্তর পশ্চিমাংশে আরেকটি বৃহৎ শহীদ মিনার অবস্থিত। এই মিনারের নাম ফলকে পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাহমুদুর রহমান এবং সাবেক পৌরপতি ফয়জুল করিম ময়ূনের নাম আছে। এই মিনারের বেদীতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘঠন সমূহ সভা সমাবেশ করে থাকেন। শহীদ সমাধি সৌধের উত্তর-পূর্বাংশে বিগত চারদলীয় জোট সরকারামলে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের আন্তরিক উদ্যোগ এবং জেলা সদরের তৎকালীন সাংসদ এম. নাসের রহমানের নেতৃত্বে নির্ম্মিত হয় জেলার প্রধান মূল শহীদ মিনার। আকর্ষনীয় ও বিশাল আকৃতির শহীদ মিনারে জেলার শতাধিক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ আছে। এই শহীদ মিনারের উদ্ভোধনী নাম ফলকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের নাম আছে। এই শহীদ মিনারে জাতীয় দিবসে উৎসবে পুষ্পস্থপক অর্পন করা হয়।

এই শহীদ সমাধি সৌধের এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নির্জন। আশে পাশে বাসাবাড়ি লোক বসতি নেই। এলাকায় কোন কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব আছে বলে দৃশ্যমান হয় না। সমগ্র এলাকাটি দিনের বেলা রাখাল বালক, জোয়াখোর, নেশাখোর বাউন্ডেলদের বারোওয়ারী আড্ডাস্থল এবং রাতের বেলা ভ্রাম্যমান বারবনিতা ও মাতালদের উপদ্রব পরিলক্ষিত হয়। রাত্রি বেলা প্রয়েজনীয় বিজলি বাতি না থাকায় অনেকেই মলমূত্রও ত্যাগ করেন। এই নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও অবস্থার উন্নতি হয় নি। বিশে ডিসেম্বর এলে এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংঘঠন, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্থবক, মোমবাতি প্রজ্জলন আলোচনা সভা হয় কিন্তু বিশে ডিসেম্বর শেষে আবার শুরু হয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি স্থলের প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা, অসম্মান ও অপমান। সম্প্রতি কানাডা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক জেলা কমান্ডার সুলেমান আলী দেশে এসে সব শুনে এবং শহীদ সহযোদ্ধাদের সমাধিস্থলের এই করুন হাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দুঃখিত হন।

একাত্তোরের বিশে ডিসেম্বরের চব্বিশ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি স্থলকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসতে স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বৎসর এর মাথায় জীবন সায়াহ্নের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে এবারের বিশে ডিসেম্বরের বিনীত দাবী-ক. বিশে ডিসেম্বরকে স্থানীয় শহীদ দিবস হিসাবে ঘোষনা করতঃ এলাকাটিকে একটি স্থায়ী সিমানা প্রাচীর নির্ম্মান করে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষনা করা, খ. মাঝে মধ্যে পুলিশি অভিযান চালিয়ে বে-আইনী ও অসামাজিক কার্য্যকলাপে জড়িতদেরকে আইনের আশ্রয়ে আনা, গ. রাতের বেলা যাতে এলাকাটি নির্লজ্য নরনারীর অসামাজিক কার্য্যকলাপের নিরাপদ স্থান না হয় সেই মর্মে প্রয়োজনীয় স্থায়ী লাইটিং এর ব্যবস্থা এবং রাতের বেলা একজন নৈশ প্রহরী নিয়োগ করা। বর্ত্তমানে পৌর চেয়ারম্যান হাজি ফজলুর রহমান অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং রাস্থা প্রসস্থ করন ও যানজট নিরসনের বলিষ্ট পদক্ষেপ পৌরবাসি কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। জেলা পরিষদ এর বর্ত্তমান চেয়ারম্যান এম.আজিজুর রহমানও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জেলা পরিষদ কিংবা পৌরসভার থেকে এমন মহতি উদ্যোগ খুব বড় বাজেটের কাজ নয়। আশাকরি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবেন।

একাত্তোরের বিশে ডিসেম্বর মাইন বিস্ফোরনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তাদের রুহ ও আত্বার শান্তি ও সদগতি কামনা করছি। [লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। কবি ও কলামিষ্ট]

                

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com