বড়লেখায় কলেজছাত্র প্রান্ত হত্যা মামলা পিবিআই’র অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদির নারাজি

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র প্রান্ত চন্দ্র দাস (১৮) হত্যা মামলায় পিবিআই পুলিশের দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই শুভ দাস। দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে মুল আসামীদের বাদ দেয়াসহ ১৩ টি অসঙ্গহতি তুলে ধরে বাদিপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার দাস ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ নারাজি পিটিশনের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের এএসপি (কুলাউড়া) সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর উপজেলার বর্ণি ইউপির মিহারী নয়াগ্রামের পিসির (ফুফুর) বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ঘরের জানালার গ্রিলে মুখ বাঁধা দন্ডায়মান অবস্থায় কলেজছাত্র প্রান্ত দাসের লাশ পাওয়া যায়। সে উপজেলার সুজানগর ইউপির বাঘমারা গ্রামের সনত দাসের ছেলে। পিসির বাড়িতে থেকে সে কলেজে লেখাপড়া করতো। পিসির বাড়ির লোকজন প্রান্ত দাস আত্মহত্যা করেছে প্রচার করায় লাশ উদ্ধারের পর থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার প্রমাণ মেলায় নিহত প্রান্ত দাসের বড়ভাই শুভ দাস ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১২ নভেম্বর থানা পুলিশ প্রধান আসামী সুমন চন্দ্র দাসসহ ৫ আসামীকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চায়। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে প্রধান আসামী সুমন চন্দ্র দাস বড়লেখা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের খাস কামরায় প্রান্ত হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে এ হত্যা মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরিত হয়। গত ১৮ জুন পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিকেশন) পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিবিরুল ইসলাম নিহতের পিসাতো দাদা সুমন দাস ও বৌদি নিভা রানী দাসের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার দাস জানান, চার্জশীটে মুল আসামীদের বাদ দেয়াসহ ১৩টি অসঙ্গহতি তুলে ধরে নারাজি পিটিশন দিলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের এএসপি (কুলাউড়া) সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আসা করছেন এ তদন্তে হত্যাকান্ডের প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।
মন্তব্য করুন