বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন ভোটগ্রহণের ধীর গতিতে ভোটারদের চরম দুর্ভোগ

আব্দুর রব॥ বড়লেখা পৌরসভায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ২৮ ডিসেম্বর সোমবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষনীয় হলেও ভোট গ্রহণের অস্বাভাবিক ধীরগতির কারণে তারা মারাত্মক দুর্ভোগ পোয়ান। কেউ কেউ ৩/৪ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ৩৫ থেকে ৫৫ ভাগ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, বড়লেখা সরকারী কলেজ ভোট কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৯২০ জন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে প্রায় ৫০ ভাগ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় বলে জানান, প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। দুপুরে ভোট কেন্দ্র প্রাঙ্গণের ভোটারের দীর্ঘ লাইন থাকতে দেখা যায়। ভোটগ্রহণের ধীর গতিতে ভোটাররা দুর্ভোগ পোয়ান। একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়, বড়লেখা মডেল স্কুল, নারীশিক্ষা একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিংহগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়লেখা মোহাম্মদীয়া আলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে। নারীশিক্ষা একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিজ মিয়া জানান, শেষ সময় পর্যন্ত তার কেন্দ্রে শতকরা ৫০ ভাগের ওপরে ভোট সংগ্রহ হয়।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম (মোবাইল ফোন)। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সহকারি রির্টার্নিং কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান জানান, পৌরসভার ১০টি ভোটকেন্দ্রে ৪৫টি বুথে কোনধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতি ভোটারদের নিকট নতুন হওয়ায় কিছু বুথে ভোটগ্রহণে ধীর গতি ছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও মাঠে ছিল র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনী।
মন্তব্য করুন