কাউয়াদীঘি হাওরের ১২০ একর জমি পানিবন্ধি, বিপাকে জমির মালিকরা

November 23, 2025,

শংকর দুলাল দেব : রাজনগরের কাউয়াদীঘি হাওরে জলমহাল ইজারাদারদের দেয়া মাটির বাঁধে বিপাকে পড়েছেন ১২০ একর জমির মালিকরা। সীমানা নির্ধারণে হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্বেও জলমহালের সাথে মালিকদের জমি মিলিয়ে বাধ দেয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাননি জমির মালিকরা। এনিয়ে জমির মালিকদের পক্ষে শনিবার বিকালে রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ  সম্মেলন করেছেন জমির মালিক স্থনীয় দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের ফজলুল হক নীরু।

জানাযায়, রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের ৮নং জে.এল এর শালকাটুয়া জলমহালের পাশে এসএস মৌরসি ও আরএস খতিয়ান নং ৩৪০৯, ৩৫১০,৩৬১৪, ৯০০, ৭২২,৫৬৩ ৩২০৮ সহ আরএস খতিয়ানের ব্যক্তি মালিকাধীন ১২০ একরেরও বেশি জমি রয়েছে। সরকারী জলমহালের পাশে থাকায় ও সীমানা নির্ধারণ করা না থাকায় জলমহাল ইজারাদারেরা জবর দখল করে জমিতে পানি আটকে রাখেন। জমিগুলোতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এনিয়ে ২০১৪ সালে জেলা প্রশসাক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন জমির মালিকরা। পরবর্তীতে হাইকোর্টে ১৪১২৮/১৬ নং রীট পিটিশন করলে আদালত গত ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া ও এটার ওপর রুল জারী করেন। পরবর্তী জেলা প্রশাসক থেকে সীমানা নির্ধারণের জন্য বলা হলেও স্থাণীয় এক প্রভাবশাণী নেতার হস্থক্ষেপে সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। বিষয়টি ঝুলে থাকায় বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী আবারো একই আদেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমানা র্নিধারণের জন্য বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হলেও এটার কোন অগ্রগতি হয়নি। এদিকে শালকাটুয়া জলমহালের ইজারাদার সোনালী স্বপ্ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি চলতি ১৪৩২ বাংলা থেকে ৬ বছরের জণ্য মন্ত্রনালয় থেকে ইজারা নেয়। জলমহালটি ইজারা নেয়ার পর জলমহালের ভাটি সীমানায় বাধ না দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২০ একর জমি বিলের সাথে মিশিয়ে বাধ দেয়া শুরু করে। খবর পেয়ে জমির মালিক পক্ষ হাওরে গিয়ে বাধ নির্মাণে বাধা দেন। মালিকানাধীন জমিরি ভাটিতে বাধ দেয়ায় জলমহালের পানি বোরো জমিতে আটকে থাকবে। ফলে ওই জমির মালিকরা বোরো আবাধ থেকে বঞ্ছিত হবেন বলে জানিয়েছেন। এনিয়ে মালিকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় জমির মালিক পক্ষের টিপু সুলতান ও অন্যান্য শরিকরা মিলে তাদের জমি দেখতে গেলে জলমহালের ইজারাদার বিরেশ বিশ্বাসের স্থলে পাঁচগাঁও ইউয়িনের খালদার গ্রামের লিটন মিয়া তাদের বাধা দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিন্ডা হলে মালিকরা চলে আসেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়ে, ‘জলমহাল নীতিমালা পরিপন্থি সাব লিজ নিয়েছেন। বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রাচর করেছেন। আবাদের মৌসুমে জলমহাল ইজারাদারের দেয়া বাধে কৃষি জমির প্রায় ১২০ জমি অনাবদি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

এব্যাপারে জানতে খালদার গ্রামের লিটন মিয়ার মোবাইল ফোনে কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জাহরার বলেন, এ বষিয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টির খোজ নিয়ে প্রয়োজণী ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com