কুলাউড়ায় ভুয়া ডাক্তার আটক, দন্ড প্রদান
কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ কুলাউড়ায় চিকিৎসা সেবা দেয়ার নাম করে মানুষকে হয়রানী করার দায়ে আহমদ ফারুকী নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌঃ মোঃ গোলাম রাব্বী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই দন্ড প্রদান করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় ওই ভুয়া ডাক্তারের দীর্ঘদিনের চেম্বার উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ‘সেবা মেডিকেল’ সেন্টারেও সিলগালা করা হয়। ভুয়া ডাক্তার আহমদ ফারুকী কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের তিলাশীজুড়া গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ‘সেবা মেডিকেল’ সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌঃ মোঃ গোলাম রাব্বী। এর আগে তার ডাক্তারির বৈধতার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করলে কিছুই দেখাতে পারেনি সে। পরে সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সামনেই মোট আটটি কক্ষ সীলগালা করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, আহমদ ফারুকী একজন পল্লী চিকিৎসক। একই পেশায় তার স্ত্রীও দিপা ফারুকীও রয়েছে। কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে ‘সেবা মেডিকেল’ নামে একটি হসপিটাল খুলে অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন এমন বিজ্ঞাপন প্রচার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। সাথে দশম শ্রেনীতে অধ্যয়নত ৬ জন মেয়েকে নার্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের দিয়ে প্যারালাইসিস ও হার্ট এ্যাটাক রোগীকে সেবা দেয়ানো হতো। এমনকি তার প্রেসক্রিপশনে (ব্যবস্থাপত্র) গভ. রেজি: সি-৬৮৬ নাম্বার এবং শিশু, মহিলা ও পারিবারিক রোগে অভিজ্ঞ লেখা থাকলেও এর কোন সত্যতা পাননি কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ নুরুল হক। এমনকি একটি কম্পিউটারের সাহায্যে মানব দেহের বিভিন্ন অংশ দেখিয়ে রোগীর শরীরে নানা ধরনের সমস্যা আছে বলে এমন বানোয়াট তথ্য প্রদান করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো সে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌঃ মোঃ গোলাম রাব্বী জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় শরীফপুর ইউনিয়নের ইছাক আলী (৭০) নামের একজন প্যারালাইসিস এবং বড়লেখার উপজেলার আজির উদ্দিন (৪৫) একজন হার্ট এ্যাটাক রোগী পেয়েছি। যারা কিনা ৯ দিন ধরে সেখানে ভর্তি রয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা ওই ব্যক্তিকে মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল প্রদান করেছি।



মন্তব্য করুন