ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বড়লেখায় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার কাঠালতলী উত্তর (টাকি) গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা (সিএনজি) শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য রুহুল আমিনের উপর ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ মামলাটি প্রত্যাহার ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বুধবার সকালে কাঠালতলী সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে।
কাঠালতলী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জিল¬ুর রহমান দুলালের সভাপত্বিত্বে মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল আলম শিমুল, সমাজসেবক আশরাফ হোসেন, উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আহিদ, সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমদ, সবুজ আহমদ, নজির আহমদ, কাঠালতলী ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা শিব্বির আহমদ, মোহাম্মদ আলী টিপু, সাইদুর রহমান, তাজুল ইসলাম, সেবুল আহমদ, রুবেল আহমদ ও বেলাল আহমদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনৈক জিয়া এক কিশোরীর সাথে ফোনালাপ করে। পরে জিয়া সিএনজি চালক রুহুলের গাড়ী ভাড়া করে মেয়েটির বাড়িতে যায়। বাড়ীর সামনে রাস্তায় রুহুলকে রেখে ২০ মিনিট পর চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ীতে নিয়ে যায়। সে রুহুলসহ মেয়েটিকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। নাটকীয় কায়দায় জিয়ার চিৎকারে এলাকার মানুষ জড়ো হয়। পরে এলাকায় অপপ্র্রচার চালায় রুহুল মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে।
এব্যাপারে ১২ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা থানায় রুহুল আমিনকে আসামী করে মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ বাদীকে তদন্তের স্বার্থে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে তাহার কোনো খোঁজ মিলেনি। গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত রুহুলকে থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯ টায় পুলিশ রুহুলের মামা আব্দুল লতিফ কুটুলের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়।
সূত্র জানায় ঐ মেয়েটি এলাকার দুই সম্মানী ব্যক্তিসহ রুহুলকে আসামী করে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু ট্রাইবুন্যাল আদালতে একই বিষয়ে আরেকটি অভিযোগ দিয়েছে। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ৩ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের আলটিমেটাম দিয়েছে।



মন্তব্য করুন