কমলগঞ্জে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের উপর হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের উপর অতির্কিত হামলরা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটে ২১ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকাল ৩টায় পতনঊষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামে। ঘটনার প্রতিবাদে সাধারন মুসল্লী ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বুধবার রাতে পতনঊষার ইউনিয়নের শহীদনগর বাজারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা হয়। রাতেই আক্রান্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
থানায় করা লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইউনিয়নের মির্জাপুর দাখিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোহিত হাসানী বুধবার বিকাল ৩টায় টিলাগড় গ্রামের একটি বাড়িতে মিলাদ পড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় এ গ্রামের শাহীন মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি অতর্কিতে এসে অধ্যক্ষ মোহিত হাসানীকে মারধর শুরু করে। হাল্লা চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষ বেরিয়ে রাস্তায় আসলে হামলাকারী স্থান ত্যাগ করে। আক্রান্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোহিত হাসানী বলেন, হামলাকারী শাহীন সাথে কয়েকজনকে নিয়ে এসে পথরোধ করে মারধর শুরু করে। তার সাথে কোন পূর্ব বিরোধও নেই। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কেন সে এ ঘটনাটি ঘটালো বা কারেরা ঈন্ধনে তা ঘটিয়েছে?
ঘটনাটি জানাজানি হলে বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়েতর নেতা কর্মী ও সাধারন মুসল্লী একত্রিত হয়ে শহীদনগর বাজারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কমলগঞ্জ শাখার সভাপতি দুরুদ আলীর সভাপতিত্বে একটি বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কমলগঞ্জ শাখার নেতা ও শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক (বাবুল), মুসল্লী লোকমান হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, হামলাকারী শাহীন এমতিতেই নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলে না। এখন সে একজন নামকরা মাওলানা ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধর করেছে। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বুধবার রাতে আক্রান্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোহিত হাসানী শাহীন মিয়াকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত শাহীন মিয়ার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি শাহীন নন বলে ফোনটি রেখে দেন। তবে এ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জমশেদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হয়তো সে ইচ্ছে করেই সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
দিনে হামলা রাতে বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রতিবাদ সভার কথা শুনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের একটি দল শহীদনগর বাজারে গিয়ে আলোচনা করে উত্তেজনা নিরসন করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে তিনি থানার ওসিকে বলেছেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোক্তাদির হোসেন পিপিএম ঘটনার সত্যতা ও থানায় লিখিত অভিযোগ গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



মন্তব্য করুন