প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে পলাতক সালমা! মায়ের আচরন রহস্যজনক
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামে পাষান মা এক বছরের দুধের শিশুকে ফেলে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার আটারো দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন উদ্ধারের কিছুই করতে পারেনি। দুধের শিশুটি মায়ের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্ন। সালামের মোবাইল ফোন চালু আছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিসহজে সালামের অবস্থান জেনে যাওয়া সম্ভব । কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অবহেলা না গাফলতির কারনে এটা করছে না।
এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর মনে। শিশুটিকে নিয়ে অসহায় বাবা বিপাকে আছেন। শিশুটিকে লালন পালন করতে তার ধারা কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মায়ের অভাবে দুধের শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে মরনাপন্ন অবস্থা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও সালমা বেগমের স্বামী দুধের শিশুকে নিয়ে পত্রিকা অফিসে এসে তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আমার দুধের শিশুকে বাঁচাতে আমার স্ত্রীকে দুষ্টু সালামের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য সহযোগিতা চাই। আমার সাজানো সোনার সংসারটি সালাম ভেঙ্গে দিলো। এখন দুধের শিশুটিও মায়ের অভাবে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবে। আমার শিশুটির প্রাণ ভিক্ষা দিন, উদ্ধার করুন সালমাকে ও অপরাধী সালামকে শাস্তি দিন পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমার আকুল আবেদন। উল্লেখ্য ১০ ফেব্রুয়ারী‘ মিজান মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (২৫) প্রেমেরটানে আট বছরের ঘর সংসার ও এক বছরের দুধের শিশুকে রেখে তালতো ভাই সালাম মিয়ার সাথে পালিয়ে যায়। স্বামীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শ^শুর বাড়িতে তালতো ভাই সালামের সাথে সালমা বেগমের পরিচয় ঘটে। এর পর থেকে সালমা বেগমের সাথে প্রতিনিয়ত ফোনে কথা চলে সালামের। এক সময়ে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামীর অগোচরে প্রায় সময় সালমার সাথে মিলা মিশা করতো সালাম। স্বামীর কাছে বিষয়টা ধরা পড়লে এ বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া ঝাটি হতো। গত ৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর আবার ঝগড়া হয়। পরে তাদের আত্মীয় আলী হোসেন, মন্টু মিয়া, তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন।
এর পরের দিন ১০ ফেব্রুয়ারী সালমা বেগম তার স্বামীর অনুপস্থিতে তার ঘরের রক্ষীত নগদ পচাত্তর হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে সালাম মিয়ার সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় দুইটি শিশু বাচ্ছাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। সালমাকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সার্ভিক সহযোগিতা করেছে তার শালিকা নাজমা বেগম। মিজান মিয়ার অভিযোগ তার শ^শুর শ^াশুরির সম্মতিক্রমে প্রেমিক সালাম মিয়ার সাথে নগদ টাকা ও স্বর্ণ সহ তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। মিজান মিয়ার অভিযোগ তার শালিকা নাজমা বেগমের সাথে প্রতিনিয়ত সালামের যোগাযোগ হচ্ছে। সে আরো বলে পুলিশ যদি তার শ^শুর বাড়ির লোকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিলে সকল তথ্য বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পুলিশ তা করছেন না। থানায় ডায়েরি করার পর তদন্তকারী কর্র্মকর্তা সুরুজ আলী প্রথমে বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নেন। সালমা বেগমের পরিবারকে তিন দিনের সময় দেন সালমাকে হাজির করার জন্য । কিন্তু বর্তমানে আটারো দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি কোনো ভূমিকা নিচ্ছেন না।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরুজ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মিজান মিয়া মিসিং ডায়েরী করেছে। মিসিং ডায়েরী করার নয় দিন পর তার শ^াশুড়ি তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ করেন। মেয়ের খোজ মা না জানলে নির্যাতনের ও যৌতুকের দাবির বিষয়ে নয় দিন পরম া কি ভাবে অবগত হলেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মা অনুমানের উপর ভিত্তি করে অভিযোগটি করেছেন। মেয়ে স্বামীর নিকট নির্যাতিত হলে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া স্বাভাবিক। কিস্তু সে নিখোঁজ কেনো এর জবাবে তিনি বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় বার্তা পাঠিয়েছি। তাকে পাওয়া গেলে বিষয়টি জানাযাবে।



মন্তব্য করুন