ফলো আপ: স্ত্রীকে খোঁজতে গিয়ে নি:স্ব হচ্ছে মিজান
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মিজান মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম পালিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য ১০ ফেব্রুয়ারী মিজান মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম(২৫) প্রেমের টানে আট বছরের ঘর সংসার ও এক বছরের দুধের শিশুকে রেখে তালতো ভাই সালাম মিয়ার সাথে পালিয়ে যায়। স্বামীর অভিযোগ শ^শুর বাড়িতে তালতো ভাই সালামের সাথে সালমার পরিচয় হয়। সালামের সাথে এর পর থেকে সালমা বেগমের সাথে প্রতিনিয়ত ফোনে কথা চলে ।
শ^শুর বাড়ির লোকজন সালামের টাকার প্রতি লোভী হয়ে সালমাকে সালামের সাথে মেলামেশা করতে সুযোগ করে দেয়। এক সময়ে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামীর কাছে বিষয়টা ধরা পড়লে এ বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এক সময় বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌছিলে সালমা সালামের সাথে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মিজানের শালিকা নাজমা বেগমের সাথে কথা বললে, সালামের সাথে সালমার সর্ম্পকের কথা স্বীকার করে। নাজমা বেগমের দেবর সালামের পিতার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি বিয়ে করেছি কিন্তু তার বাবা মায়ের নাম ও ঠিকানা জানি না।
নাজমা বেগমের মা ফিরুজা বেগমের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন আমার মেয়েকে মিজান যৌতুকের জন্য মারধর করেছে। সে কোথায় গিয়েছে আমরা জানি না। যৌতুকের জন্য মারধর করেছে তিনি জানলেন কি ভাবে সে কথা জানতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। যৌতুকের জন্য মারধরের কারনে পূর্বে কোনো শালিষ বৈঠক হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না হয়নি। মিজান মিয়ার অভিযোগ তার ভায়েরা ফয়ছল মিয়া তাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে । এমন কি শ^শুর বাড়ির লোকজন তাকে ঘায়েল করার জন্য নানা ভাবে মামলা মোকাদ্দামা করার চেষ্টা করছে। তার স্ত্রীকে পালিয়ে যাওয়া সালাম ও সালমার খোঁজ কেউ দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করবে বলে জানায়। কমলগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) সুরুজ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মিজান মিয়া জিডি করেছে জিডির ভিত্তিতে চারী দিকে খোঁজ খবর করছি। অপর দিকে মিজান মিয়ার শ^াশুরি ফিরুজা বেগম তার মেয়েকে যৌতুকের দায়ে মারধরের লিখিত অভিযোগ করে তার উপর। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়নি। যদি সালমার কোনো খোঁজ পাওয়া গেলে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করবো।



মন্তব্য করুন