অবিলম্বে নতুন চুক্তি করে বাস্তবায়নের দাবিতে কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি ও নুরজাহান চা বাগানে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাগান মালিক পক্ষের অবলিম্বে নতুন চুক্তি করে তা বাস্তবায়নের দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ও নুরজাহান চা বাগানে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে।
পরে চা শ্রমিকরা প্রতিবাদ করে দুটি চা বাগান ব্যবস্থাপকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফুলবাড়ি চা বাগানে ও সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত নুরজাহান চা বাগান কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ কর্মবিরতি পালন করে চা শ্রমিকরা।
সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ি চা বাগানের কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি রবি বাউরীর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির (অঞ্চলের) সহ-সভাপতি গায়েত্রী রানী রাজভর, মনু ধলই ভেলীর সাধারন সম্পাদক নির্মল দাস পাইনকা, মাসিক চা মজদুর পত্রিকার সম্পাদক সীতারাম বীন ও চা ছাত্র যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সজল কৈরী। একই সাথে নুরজাহান চা বাগানেও সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত একই কর্মসূচী পালন করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় নুরজাহান চা বাগান কারখানার সামনে এ বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি তরনী ফুলমালির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক বিক্রম কানুসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
আন্দোলনকারী চা শ্রমিকরা জানান, প্রতি দু’বছর অন্তর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সাথে নতুন চুক্তি করে মজুরী বৃদ্ধি করা হয়। ২০১৭ সনের জানুয়ারী মাসে চা শ্রমিকদের মজুরি চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্র্ণ হওয়ার পর আর নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় চা শ্রমিকরা এখনও দৈনিক ৮৫ টাকা মজুরিতে শ্রমিক পরিবার সদস্যরা দুঃখ-কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে। ফুলবাড়ি ও নরুজাহান চা বাগানে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ সভা শেষে নতুন মজুরি চুক্তি করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের দাবিতে পৃথক পৃথকভাবে এ দুটি চা বাগান ব্য্যবস্থাপকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কওে চা শ্রমিকরা।
উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফুলবাড়ি ও নুরজাহান চা বাগান ব্যবস্থাপকরা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। বাংলাদেশ চা শ্রমকি ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক। চা শ্রমিক ইউনিয়নও দাবি করে অবিলম্বে চা বাগান মালিকরা নতুন চুক্তি করে মজুরি বৃদ্ধি করে তা বাস্বতবায়ন করতে হবে।



মন্তব্য করুন