শ্রীমঙ্গলে জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব

October 31, 2021,

বিকুল চক্রবর্তী॥ “পরিবারের আদর্শ মা মারীয়া “এই মুলসুরের উপর ভিক্তি করে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে ২দিনব্যাপী ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।
৩১ অক্টোবর ররিবার বিকেলে দুইদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হয় জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব। এর আগে রবিবার সকাল ১১টায় তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। মহা খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ড্যাইসিসের দ্বায়িত্বরত বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ।
খ্রিষ্টযাগে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনের প্রধান ধর্মযাজক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, সহকারী যাজক ফাদার কেবিন কুবি সিএসসি, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফাদার প্লাসিড প্রশান্ত রোজারিও,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ভাইসপ্রিন্সিপাল ফাদার মৃণাল ম্রং,কুলাউড়া লক্ষিপুর মিশনের প্রধান যাজক ফাদার ভেলেন্টাই তালাং,সিলেট ক্যাথলিক বিশপ হাউজের সচিব ফাদার সরোজ কস্তা, বড়লেখা ডিমাই মিশনে প্রধান যাজক ফাদার যোসেফ গমেজ, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগন্জ সাব-মিশনের পরিচালক ফাদার বিপ্লব, সুনামগঞ্জ রাজাই মিশনের প্রধান যাজক ফাদার যোসেফ তপ্ন,ঢাকা নটরডেম ইউনিভার্সিটি লেকচারার ফাদার বনিফাস সুব্রত টলেন্টুনিও। এ সময়ও আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ প্রায় তিন হাজা খ্রিস্টভক্তগণ।
বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বলেন, ঈশ্বর কুমারী মারীয়াকে বেছে নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়া জন্যে, মা মারীয়া হলো উদ্বারকর্তা ঈশ্বরপুত্র যিশু খ্রিষ্টের মা। জপমালা প্রার্থনা সময় স্তবে মা মারীয়াকে বলা হয় অমলোদ্ভবা মারীয়া, ঈশ্বর পবিত্রা জননী, পাপীদের আশ্রয় ও স্বর্গের রানী, কারন ঈশ্বর তাকে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং ঈশ্বর আদেশে কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যীশু খ্রিষ্টকে।
তীর্থ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি বলেন, এই বছর আমরা এই স্হানে ৩২তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করছি। বিগত বছর আমরা কোভিড-১৯ কারণে সীমিত আকারে জপমালা মা মারীয়া তীর্থ উদযাপন করেছি।
তিনি বলেন, যেহেতু শ্রীমঙ্গলের এই হরিণছড়া জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থ স্থানটি সিলেট ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ড্যাইসিসের একমাত্র তীর্থ স্থান, এখানে সিলেট বিভাগে সকল জেলা-উপজেলায় বসবাসরত ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলী ও দেশের বিভিন্ন বিভাগের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা এখানেই প্রতিবছর তীর্থোৎসব অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করেন এবং এবছরও তাই হয়েছে।
উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য এলিসন সঙ জানান, এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত করেন। উদ্দেশ্য সফলের লক্ষ্যে প্রার্থনা, অনুতাপ প্রার্থনা(পাপস্বীকার),আরাধনা সংস্কার,জীবন্ত ক্রুশে পথ ও জপমালা রানী মা-মারীয়া কাছে বিশেষ করে ধরণীর সকল মানব কল্যানে প্রার্থনা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com